দিল্লির নির্ভয়া কাণ্ডের পর দেশের মহিলাদের সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে তৈরি হয় রিভলভার ‘নির্ভীক’। হাল্কা ওজনের রিভলভারটি আত্মরক্ষার জন্য মহিলারা নিজেদের ব্যাগেও রাখতে পারবেন। একেবারেই মহিলাদের কথা মাথায় রেখে এর ডিজাইন করা হয়। ডিজাইন করে অর্ডিন্যান্স ফ্যাক্টরি কানপুর। সাধারণত রিভলভারের ওজন হয় ৭০০ গ্রাম। কিন্তু নির্ভীক-এর ওজন তার চেয়ে ২০০ গ্রাম কম করে তৈরি করা হয়েছে।
৫০০ গ্রাম ওজনের রিভলভারটি মহিলাদের পক্ষে বহন করা সহজ। প্রয়োজনে আত্মরক্ষার জন্য ব্যবহার করাও সহজ। এটি ১০ মিটারের মধ্যে ভালভাবে কাজ করতে পারে। যদিও অর্ডিন্যান্স ফ্যাক্টরির দাবি এটি ১৫ মিটার পর্যন্তও কাজ করে। কোনও মহিলা দুষ্কৃতিদের হাতে বিপদে পড়লে এই রেঞ্জ নিজেকে রক্ষা করার জন্য যথেষ্ট। ০.৩২ বোর ক্যালিবারের এই রিভলভারটি এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয়েছে দিল্লি, হরিয়ানা ও উত্তরপ্রদেশে।
এখনও পর্যন্ত গত ৫ বছরে ২ হাজার ৫০০টি এমন রিভলভার বিক্রি হয়েছে। বিক্রি বাড়ছে। তবে এই রিভলভার মধ্যবিত্তের কতটা আয়ত্তের মধ্যে তা নিয়ে প্রশ্ন আছে। সাধারণত রিভলভারের দাম হয় ১ লক্ষ টাকা। কিন্তু মহিলাদের জন্য তৈরি এই নির্ভীক রিভলভারের দাম ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা। তার সঙ্গে জিএসটি যোগ করলে দাঁড়াচ্ছে ১ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা। আত্মরক্ষার প্রয়োজন অবশ্যই রয়েছে। সেজন্য এমন একটি আগ্নেয়াস্ত্র সঙ্গে থাকলে মহিলারা অনেক নিশ্চিন্তে রাস্তাঘাটে চলাফেরাও করতে পারেন। কিন্তু দামটাও একটা বড় বিষয়। ফলে নির্ভীক মধ্যবিত্তদের আকর্ষিত করতে পারছেনা।
নির্ভীক এমন একটি রিভলভার যার পরিচর্যারও খুব একটা দরকার নেই। ফলে এই রিভলভারকে সচল রাখতে এর নিয়মিত দেখভালে সময় ব্যয় করতে হবেনা মহিলাদের। টাইটানিয়াম ধাতু দিয়ে তৈরি হয়েছে এই রিভলভার। এতে জং ধরার ভয় নেই। ইন্টারন্যাশনাল পুলিশ এক্সপো-তে এই রিভলভারটি দেখানোও হয়। সকলকে জানানো হয় এর গুণাগুণ। এখন এই রিভলভারের ২৭০০ সিরিজটি তৈরি হচ্ছে অর্ডিন্যান্স ফ্যাক্টরিতে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা