বড়দিনে চলে গেলেন ‘কলকাতার যিশু’, প্রয়াত কবি নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী
বড়দিনের দিন অমৃতলোকে পাড়ি দিলেন কলকাতার যিশুর স্রষ্টা। যিনি অমলকান্তির মত হয়তো রোদ্দুর হতে চেয়েছিলেন। এদিন তিনি যেন নিজেই অমলকান্তি হয়ে মিশে গেলেন রোদ্দুরে।
হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হল বাংলা সাহিত্য জগতের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কবি নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর। মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৯৪ বছর। এদিন কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। গত ৯ ডিসেম্বর তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। গত সোমবার তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন। মঙ্গলবার সকালে তাঁর মৃত্যু হয়।
কিছুদিন আগেই স্ত্রীকে হারান কবি। তাঁর ২ মেয়ে রয়েছেন। তাঁরা জানিয়েছেন, বাবা জানিয়ে গিয়েছেন তিনি তাঁর সারা জীবনটা দারুণ আনন্দে উপভোগ করেছেন।
বড়দিনের দিন অমৃতলোকে পাড়ি দিলেন কলকাতার যিশুর স্রষ্টা। যিনি অমলকান্তির মত হয়তো রোদ্দুর হতে চেয়েছিলেন। এদিন তিনি যেন নিজেই অমলকান্তি হয়ে মিশে গেলেন রোদ্দুরে। তাঁর লেখা ‘উলঙ্গ রাজা’ কাব্যগ্রন্থের জন্য তিনি ১৯৭৪ সালে সাহিত্য অ্যাকাডেমি পুরস্কার পান।
নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর পরিচিতি তাঁর অসামান্য কবিতাগুলির জন্য। কিন্তু কবিতার পাশাপাশি তিনি বেশ কিছু গল্প ও উপন্যাস লিখেছিলেন। লিখেছেন ছোটদের পদ্য। ১৯২৪ সালের ১৯ অক্টোবর জন্মগ্রহণ করেন নীরেন্দ্রনাথ। তাঁর জীবনটাই ছিল সাহিত্য। তাঁর লেখা প্রায় ৫০টির ওপর কবিতার বই ও ১৭টি ছোটদের পদ্যের বই রয়েছে।
এদিন ট্যুইট করে কবি নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাংলা সংস্কৃতি জগতে এ এক বিশাল ক্ষতি বলে ব্যাখ্যা করেন তিনি। মনে করিয়ে দেন ২০১৭ সালে নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীকে ‘বঙ্গ বিভূষণ’ সম্মানে সম্মানিত করে রাজ্য সরকার।