আরও বেসরকারিকরণের পথে হাঁটল কেন্দ্র
চতুর্থ দফায় শনিবার আরও বেশকিছু ঘোষণা করলেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। এদিন নানা ক্ষেত্রে বেসরকারি বিনিয়োগে জোর দিলেন তিনি।
নয়াদিল্লি : কেন্দ্র বেসরকারি বিনিয়োগে যে উৎসাহী, বেসরকারিকরণে উৎসাহী তা আগেই নানা ক্ষেত্রে প্রকাশ পেয়েছে। এবারই সেই লক্ষ্যে আরও এগোনোর কথা জানালেন অর্থমন্ত্রী। গত মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী করোনা মোকাবিলায় ২০ লক্ষ কোটি টাকার যে আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণা করেছিলেন তা ধাপে ধাপে পরিস্কার করতে বুধবার থেকে প্রতিদিনই সাংবাদিক বৈঠক করে নানা ঘোষণা করছেন অর্থমন্ত্রী। শনিবার তাঁর ঘোষণায় জায়গায় পেল মূলত বেসরকারি বিনিয়োগের ওপর জোর।
ভারতের মহাকাশ অভিযানে এবার বেসরকারি সংস্থাগুলিকেও অংশ নেওয়ার সুযোগ দেওয়া হবে। মহাকাশে যাওয়ার ক্ষেত্রেও বেসরকারি সংস্থা অংশ নিতে পারবে। ভারতের মহাকাশ ক্ষেত্রে বেসরকারি সংস্থাগুলিকে অংশ নিতে উৎসাহ দেবে সরকার। মহাকাশ ভিত্তিক পরিষেবা থেকে উপগ্রহ পাঠানো, সবেতেই এবার অংশ নিতে পারবে বেসরকারি সংস্থা। যেসব বেসরকারি সংস্থা ভারতের মহাকাশ ক্ষেত্রে বিনিয়োগ করে অংশ নেবে তারা ইসরোর পরিকাঠামো ব্যবহার করতে পারবে।
এতদিন ভারতের প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত সরঞ্জাম উৎপাদনে প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগের উর্ধ্বসীমা ছিল ৪৯ শতাংশ। এদিন তা বাড়িয়ে ৭৪ শতাংশ করা হল বলে ঘোষণা করেছেন অর্থমন্ত্রী। এরফলে সময় বেঁধে উৎপাদন ও দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণের দিকগুলি আরও শক্তিশালী হবে বলে মনে করছেন অর্থমন্ত্রী। বিদ্যুৎ বণ্টনের ক্ষেত্রেও বেসরকারিকরণের রাস্তায় হেঁটেছে কেন্দ্র। আপাতত কেন্দ্রশাসিত এলাকায় বিদ্যুৎ বণ্টন পুরোটাই বেসরকারি সংস্থার হাতে ছাড়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
বাণিজ্যিকভাবে কয়লা উৎপাদন হবে বলেও গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র সরকার। এদিন অর্থমন্ত্রী জানান, আগামী দিনে দেশে বাণিজ্যিকভাবে কয়লা উৎপাদন হবে। কয়লা উৎপাদনে বেসরকারি ক্ষেত্রকে জায়গা করে দিচ্ছে কেন্দ্র। দ্রুত ৫০টি ব্লক বেসরকারি হাতে ছাড়া হবে। কয়লা বিক্রির ক্ষেত্রেও বিধিনিষেধ শিথিল করা হয়েছে। এখন বাণিজ্যিকভাবে কয়লা বিক্রি করতে পারবে যে কেউ। সরকার এবার থেকে রেভিনিউ শেয়ারিং পদ্ধতিতে চলবে। বেসরকারি ক্ষেত্রের কয়লা উৎপাদন ও বিক্রিতে সুযোগ অনেকাংশে বাড়বে। এতে প্রতিযোগিতামূলক বাজার তৈরি হবে ও সবকিছুর মধ্যে স্বচ্ছতা বৃদ্ধি পাবে বলেই মনে করছেন অর্থমন্ত্রী। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা