Business

অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে একগুচ্ছ ঘোষণা অর্থমন্ত্রীর

ক্রমশ ডলারের সাপেক্ষে ভারতীয় মুদ্রার দর কমছে। বাজারে অর্থের চলন অনেকটাই থিতিয়ে পড়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও চিনের মধ্যে যে শুল্ক যুদ্ধ চলছে তার খারাপ প্রভাব দেশীয় অর্থনীতির ওপরও এসে পড়ছে। এর মধ্যেই নীতি আয়োগের ভাইস চেয়ারম্যান সাফ জানিয়েছেন, ভারতীয় বাজারে এমনই নগদের অভাব দেখা দিয়েছে যে তা নাকি গত ৭০ বছরে হয়নি। এমনই এক সমস্যাজীর্ণ ভারতীয় অর্থনীতিকে চাঙ্গা করা ছিল কেন্দ্রের সামনে একটা চ্যালেঞ্জ। সেই সমস্যা দূর করতে শুক্রবার একগুচ্ছ ঘোষণা করলেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন।

সীতারমন এদিন জানিয়েছেন, বাজারে নগদের হাল ফেরাতে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলিকে ৭০ হাজার কোটি টাকা দিতে চলেছে অর্থ মন্ত্রক। যা রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলির কোষাগারে এলে তা বাজারে নগদের মন্দা দূর করবে। সেইসঙ্গে শিল্পের ক্ষেত্রে অর্থের যোগান বৃদ্ধি পাবে। তাতে শিল্পের হাল ফিরবে। শিল্পপতিদের কপালের পুরু ভাঁজকে অনেকটা হাল্কা করবে। শিল্পপতিদের সামাজিক কাজের একটা বাধ্যবাধকতা ছিল। তা এদিন তুলে নিয়েছে সরকার। ফলে শিল্পপতি চাইলে তাঁর সংস্থার মাধ্যমে সামাজিক কাজে অংশ নেবেন। নতুবা নয়। শেয়ার বিক্রির ওপরও সারচার্জ তুলে নিয়ে শিল্পপতিদের স্বস্তি দেওয়ার চেষ্টা করেছেন অর্থমন্ত্রী।


ট্যাক্সের ক্ষেত্রের ‘ট্যাক্স টেররিজম’ নিয়ে বারবার যে অভিযোগ সামনে আসছিল তারও প্রতিকার করেছেন সীতারমন। সীতারমন সব রাজ্যের ও কেন্দ্রের কর আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলেছেন। আলাদা করে কর সংক্রান্ত সমস্যা নিয়ে কর আধিকারিকরা যেভাবে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির সঙ্গে দেখা করছিলেন তা আগামী দিনে আর তাঁরা করতে পারবেননা। সীতারমন তাঁদের জানিয়েছেন এ ক্ষেত্রে প্রযুক্তির সাহায্য নিয়ে করদানের হাল হকিকতের দিকে নজর রাখা হবে। ব্যক্তিগতভাবে কারও কাছে যাওয়ার প্রয়োজন নেই। এতে বারবার ওঠা কর সন্ত্রাসের অভিযোগ থেকে অনেকটা স্বস্তি পাবেন মানুষজন। আগামী বিজয়া দশমীর দিনের পর থেকে কোনও কর আধিকারিক কারও কাছে আর যেতে পারবেন না। বিজয়া দশমীর দিন থেকে কম্পিউটারে তৈরি হওয়া আইডি নম্বর সহ কর সংক্রান্ত সমন জারি করা হবে। আইডি না থাকলে সেই সমন গ্রাহ্য করতে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বাধ্য নন। পয়লা অক্টোবর ২০১৯ থেকে আয়কর সংক্রান্ত নোটিস কম্পিউটারের মাধ্যমে পাঠানো হবে।

স্টার্ট আপ সংস্থাগুলিকেও যথেষ্ট স্বস্তি দিয়েছেন মন্ত্রী। সীতারমন জানিয়েছেন, আগামী দিনে স্টার্ট আপ সংস্থাগুলিকে অথবা সেগুলিতে আর্থিক বিনিয়োগকারীকে আর অ্যাঞ্জেল ট্যাক্স দিতে হবেনা। জিএসটি-র ক্ষেত্রেও বেশ কিছু ঘোষণা এদিন হয়েছে। যা ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত মানুষজনকে স্বস্তি দেবে। অর্থমন্ত্রী জানিয়েছেন, এই মুহুর্তে জিএসটি রিফান্ডের যে বকেয়া পড়ে আছে তা ৩০ দিনের মধ্যেই মিটিয়ে দেওয়া হবে। তারপর থেকে ৬০ দিনের মধ্যে জিএসটি রিফান্ড দিয়ে দেওয়া হবে। কোম্পানি সংক্রান্ত জটিলতায় সরকার আগামী দিনে মামলার পরিবর্তে জরিমানায় জোর দেবে বলেও জানিয়ে দিয়েছেন মন্ত্রী। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা


Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button