একেই বিজেপির সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক কার্যত তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। যার প্রভাব বোঝাও যাচ্ছে। নোটবন্দির পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গলাও ফাটিয়েছেন দিল্লির বিরুদ্ধে। এই অবস্থায় নীতি আয়োগের বৈঠকে যে মমতাকে দেখা যাবে না তা আগে থেকেই আন্দাজ করতে পারছিলেন সকলে। একেই নীতি আয়োগ নিয়ে আপত্তি ছিল প্রথম থেকেই। তার ওপর তলানিতে ঠেকা সম্পর্কের জেরে এদিন নীতি আয়োগের তৃতীয় প্রশাসনিক বৈঠকে দেখা মিলল না পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর। ছিলেন না দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালও। তাঁর রাজ্যে আবার এদিনই ছিল পুর নির্বাচন। ফলে সে কারণে নিজেকে নীতি আয়োগের বৈঠক থেকে দূরে রাখতে পারেন তিনি। তবে এই ২ মুখ্যমন্ত্রী বাদে অন্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের নিয়ে এদিন বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বৈঠকে রাজ্যগুলিকে উন্নয়নের পাঠ দেন প্রধানমন্ত্রী। রাজ্যগুলির জন্য বরাদ্দ অর্থের যথাযথ খরচ ও পরিকাঠামো উন্নয়নে জোর দেন তিনি। নতুন ভারত গড়তে ১৫ বছরের একটি ভিশন-এর কথাও এদিন প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন। এই লক্ষ্যে সব রাজ্যকে ছোটার পরামর্শ দিয়ে এই কাজ ৩ ধাপে শেষ করার একটা ব্লুপ্রিন্টও সকলের সামনে পেশ করেন নরেন্দ্র মোদী। রাজ্যগুলির সঙ্গে কেন্দ্রের সহযোগিতামূলক যুক্তরাষ্ট্রীয় সম্পর্ককে আরও নিবিড় করার জন্যও সওয়াল করেন তিনি। এদিনও মোদীর গলায় ছিল জিএসটিকে সফল করার বার্তা।