নীতীশের মোক্ষম চালে বাজিমাত বিজেপি, হাত মেলাল ৭ দল
পাশা উল্টে দেওয়ার পথে যে তিনি হাঁটতে চলেছেন তার ইঙ্গিত আগেই পাওয়া গিয়েছিল। মঙ্গলবার সব সমীকরণ উল্টেপাল্টে মোক্ষম চালে বাজিমাত করলেন নীতীশ কুমার।
বিহারের রাজনীতিতে যে ভূমিকম্প আসতে চলেছে তা বোঝাই যাচ্ছিল। তা মঙ্গলবারই সত্য হিসাবে সামনে এল। সব সমীকরণ উল্টেপাল্টে দিয়ে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিলেন নীতীশ কুমার। সেইসঙ্গে ছেড়ে দিলেন বিজেপির হাত।
বিজেপি ২০২০ সালের পর থেকে তাঁর দল জেডিইউ-কে দুর্বল করার চেষ্টা করছে বলে তাঁর দলের বিধায়করাও নীতীশকে রিপোর্ট দেন। তাছাড়া তিনি নামেই মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। তাঁকে চলতে হচ্ছিল বিজেপির অঙ্গুলিহেলনে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞেরা।
এছাড়া নীতীশ কুমার এখন থেকেই ২০২৪-এর দিকে নজর দিতে চাইছেন। তাঁর লক্ষ্য এবার দিল্লির মসনদ বলেও মনে করছেন বিশেষজ্ঞেরা।
বিজেপির সঙ্গে নীতীশের সম্পর্ক কখনওই যে খুব ভাল ছিলনা তা সকলের জানা। তবে বিহারে ক্ষমতায় থাকতে তিনি একসময় মহাগঠবন্ধনের হাত ছেড়ে বিজেপির হাত ধরেন। এবার বিজেপির হাত ছেড়ে ফের সেই মহাগঠবন্ধনের দিকেই ঝুঁকলেন তিনি।
নীতীশ যে আটঘাট বেঁধেই ইস্তফার রাস্তায় হেঁটেছেন তা পরিস্কার। কারণ মঙ্গলবারই ৭ দলের জোট নিশ্চিত হয়েছে বিহারে। ক্ষমতায় থাকতে গেলে নীতীশকে বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতার প্রমাণ দিতে হবে। আর তা দিতে তাঁকে কংগ্রেস ও আরজেডি-র হাত ধরতেই হত।
সে পথ আগে থেকে পরিস্কার করেই রেখেছিলেন প্রখর রাজনৈতিক বুদ্ধি সম্পন্ন নীতীশ কুমার। মঙ্গলবারই তিনি আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদবের সঙ্গে বিহারের রাজ্যপালের সঙ্গেও দেখা করেন।
এদিকে বিজেপির জন্য এটা একটা বড় ধাক্কা সন্দেহ নেই। এখন যা পরিস্থিতি তাতে বিহারে বিজেপিকে একলা চলার নীতি নিতে হবে। যা নীতীশ কুমার ও লালুপ্রসাদের মিশে যাওয়ার পর খুব একটা সহজ হবেনা। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা