এপ্রিল না জানুয়ারি বোঝা দায়, ৪ ফুট বরফের তলায় একাধিক শহর
এটা এপ্রিল মাস, নাকি জানুয়ারি মাস, বোঝা দায় হচ্ছে অনেকের। কারণ এপ্রিলে এমন তুষারপাত তাঁরা দেখেননি। যার জেরে ৪ ফুট বরফে ঢেকেছে মাইলের পর মাইল।
প্রকৃতির খামখেয়ালিপনা বোধহয় একেই বলে। ভরা এপ্রিলে জানুয়ারি মাসের ছবি সামনে এসে পড়ল। একটা নয়, পরপর ২টি তুষারঝড়ের কবলে পড়লেন বহু মানুষ। সাদা বরফে ঢেকে গেল রাস্তাঘাট থেকে বাড়িঘর, গাছপালা।
কোথাও এক ইঞ্চি ফাঁক নেই। সবটাই বরফে ঢাকা। তাও আবার পাতলা বরফের আস্তরণ নয়। পুরু ৪ ফুট বরফের তলায় চলে গেছে সবকিছু।
এমনকি বাড়ি ছেড়ে বাইরে বার হতে পারছেন না সাধারণ মানুষ। দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে প্রাত্যহিক জীবন। আর যেন তুষারপাত না হয়, সেটাই মনে মনে চাইছেন সকলে।
জানুয়ারি মাস হলে একটা কথা ছিল। কিন্তু এপ্রিলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা সীমান্তে এতটাও ঠান্ডা থাকেনা যে বরফের তলায় চলে যাবে মাইলের পর মাইল। সেটাই কিন্তু হয়েছে।
নর্থ ডাকোটার মিনোটের মত শহর বরফের তলায় চলে গেছে। শহরে প্রায় ৫০ হাজার মানুষের বাস। তাঁরা প্রত্যেকেই এখন আতান্তরে পড়েছেন। এপ্রিলে এমন তুষারপাত নয়া রেকর্ড গড়েছে সেখানে।
গত ১২ এপ্রিল প্রথম তুষারঝড়টি হানা দেয় এই অঞ্চলে। তখনই ৩৬ ইঞ্চি বরফের তলায় চলে যায় মিনোট শহরের বিস্তীর্ণ অঞ্চল। পরের ঝড়টি আসে ইস্টারের দিন।
এমন পরিস্থিতি হয় যে বিমান চলাচল বিঘ্নিত হয়। দৃশ্যমানতা তলানিতে এসে ঠেকে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে সড়কপথেও যাতায়াতে সতর্কতা জারি করা হয়েছে।