নরওয়েতে করোনা প্রতিষেধক টিকা নিতেই মৃত ২৩
করোনা থেকে বাঁচতে টিকাই একমাত্র পথ। সেই টিকা যখন এসেই পড়েছে তা নিচ্ছেন মানুষজন। নরওয়েতে কিন্তু টিকা নিতে মৃত্যু হল ২৩ জনের।
লন্ডন : ভারতে টিকাকরণ শুরু হল শনিবার থেকে। আর সেদিনই একটি খবর চমকে দিল বিশ্বকে। নরওয়েতে টিকা নিয়ে মৃত্যু হল ২৩ জনের। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী পর্যন্ত সকলকে আশ্বস্ত করে জানিয়ে দিয়েছেন করোনা টিকা সুরক্ষিত। আর তা পরীক্ষা করেই ছাড় দেওয়া হয়েছে। এককথায় করোনা টিকা গ্রহণ নিয়ে কোনও চিন্তার কারণ নেই।
ভারতে যেমন কোভিশিল্ড দেওয়া হচ্ছে, ব্রিটেন, আমেরিকা সহ অন্য অনেক দেশে দেওয়া হচ্ছে ফাইজারের টিকা। মার্কিন এই সংস্থা নরওয়েতেও টিকার যোগান দিয়েছে। আর সেই টিকাই দেওয়া হচ্ছিল নরওয়েতে। নরওয়েতে এখন ২টি টিকার ছাড়পত্র রয়েছে। দ্বিতীয়টি মার্কিন সংস্থা মডার্নার তৈরি।
যে ২৩ জনের মৃত্যু হয়েছে তাঁরা সকলেই বয়স্ক মানুষ। তাহলে কী বয়স্কদের টিকাকরণের ক্ষেত্রে আরও অনেকগুলি বিষয়ে সতর্ক হওয়ার প্রয়োজন রয়েছে?
নরওয়ের মেডিক্যাল এজেন্সি জানাচ্ছে, এই ২৩ জনের মৃত্যু কাকতালীয় হতে পারে আবার নাও হতে পারে। তারা নিশ্চিত নয় এ নিয়ে। আবার এঁদের মৃত্যু ও টিকার মধ্যে সম্পর্ক নাও থাকতে পারে।
ইতিমধ্যেই ২৩ জনের টিকা নিয়ে মৃত্যুকে কেন্দ্র করে নরওয়ে জুড়ে হৈচৈ পড়ে গেছে। পুরো ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে নরওয়ে সরকার।
নরওয়ের মেডিক্যাল এজেন্সি এমনও মনে করছে যে টিকার যে স্বাভাবিক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয়ে থাকে তা কম বয়সীদের ক্ষেত্রে প্রভাব না ফেললেও বয়স্ক এবং কোমর্বিডিটি থাকা ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে ফেলছে। আর তা থেকেই হয়তো মৃত্যু হয়েছে। যদিও সবই তদন্ত সাপেক্ষ। প্রসঙ্গত নরওয়েতে টিকাকরণ শুরু পর ইতিমধ্যেই ২০ হাজার জনকে টিকা দেওয়া হয়ে গেছে।
দেখা গেছে যে ২৩ জনের মৃত্যু হয়েছে তাঁদের সকলেরই বয়স ৮০ বছরের উর্ধ্বে। কয়েকজনের ৯০-এরও ওপরে। এঁরা প্রত্যেকেই জরাগ্রস্ত অবস্থায় ভর্তি ছিলেন হাসপাতালে। ফলে তাঁদের শরীরের অবস্থা ভাল ছিলনা।
তার ওপর টিকা পরায় তা সহ্য করা মুশকিল হল কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কিন্তু এই ঘটনা নরওয়ে তো বটেই, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে শুরু হওয়া করোনা টিকাকরণের পথে কিছুটা হলেও আতঙ্কের পরিবেশ সৃষ্টি করল। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা