হরিণ পিছু ৪ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ গুনে মাথায় হাত সরকারের
হরিণরা যখন তখন দেশ ছেড়ে চলে যাচ্ছে। সেটা এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে হরিণদের দেশত্যাগ রুখতে ব্যবস্থা নেওয়া শুরু করল প্রশাসন। তাও কার্যত নাওয়াখাওয়া ভুলে।
হরিণরা দেশ ছেড়ে প্রতিবেশি দেশে চলে যাচ্ছে। তবে সাধারণ হরিণ নয়। যাকে বলা হয় রেনডিয়ার। সেই গোত্রের হরিণরাই এই দেশত্যাগে উৎসাহ দেখাচ্ছে। মানুষের তৈরি কোনও রেখা তারা মানতে চাইছে না। বরং কচি কচি ঘাসের টানে তারা যখন তখন দেশ ছাড়ছে। আর যদিও বা ফিরে আসছে, তো তারা যাতে আবার এমন কাণ্ড না করে সেজন্য একরকম বাধ্য হয়েই তাদের বলি দিচ্ছে নরওয়ে প্রশাসন।
নরওয়ের রেনডিয়াররা যখন তখন লাগোয়া রাশিয়ায় চলে যাচ্ছে সীমানা পার করে। চলতি বছরে অনেক রেনডিয়ার এমন করে রাশিয়া চলে গিয়েছে।
বিরল এই হরিণ রাশিয়ায় চলে যাক একেবারেই চাইছে না নরওয়ে প্রশাসন। তারা তাই রাশিয়ার সঙ্গে তাদের যে সীমান্ত তার পুরোটাই বেড়া দিয়ে ঘিরে দেওয়ার উদ্যোগ শুরু করেছে।
রাশিয়া ও নরওয়ের সীমান্ত অনেকটাই কাঁটাতারের বেড়া দেওয়া। কিছুটা ফাঁকা। সেই ফাঁক দিয়েই রেনডিয়াররা দিব্যি চলে যাচ্ছে রাশিয়ায়।
আর নরওয়ের রেনডিয়াররা রাশিয়ায় ঢুকলেই রাশিয়া আবার প্রতি রেনডিয়ার পিছু ৪ হাজার ৭০০ ডলার করে ক্ষতিপূরণ চাইছে নরওয়ের কাছে। তাদের প্রাকৃতিক সম্পদ ধ্বংস করছে নরওয়ের রেনডিয়াররা। রাশিয়ার সেই যুক্তিতে ক্ষতিপূরণও নরওয়েকেই গুনতে হচ্ছে।
বিরল প্রজাতির হরিণ দেশ ছেড়ে অন্য দেশে চলে যাচ্ছে। রাশিয়া আবার তারা গেলেই ক্ষতিপূরণ চাইছে। রেনডিয়াররা রাশিয়া থেকে ফের দেশে ফিরলে তাদের কেটে ফেলতে হচ্ছে। কারণ একবার গেলেই রেনডিয়ারদের প্রবণতা তৈরি হচ্ছে ফের যাওয়ার। সব মিলিয়ে নাজেহাল নরওয়ে প্রশাসন এখন রাশিয়ার সঙ্গে তাদের সীমান্ত পুরোটাই তার দিয়ে ঘিরে ফেলতে উঠেপড়ে লেগেছে।