পৃথিবীর উত্তরের শেষ শহর কোনটি, যেখানে একটাও বেড়াল নেই
বিশ্বের উত্তর প্রান্তের শেষ শহর। শুনলে বেশ অবাক লাগতে পারে। কিন্তু এ শহরে বাসিন্দার সংখ্যা নেহাত কম নয়। সেখানে গেলে হবে বিস্ময়কর অভিজ্ঞতাও।
এ শহর বেশ সাজানো। দেখে মনে হবে মাটি নয় গোটা শহরটাই দাঁড়িয়ে আছে বরফের ওপর। ছোট ছোট বাড়ি। নানা রংয়ে অপরূপ তার সাজ। রংয়ের বাহারে চোখ জুড়িয়ে যায়। তীব্র ঠান্ডা এখানে। তারমধ্যেও প্রায় ২ হাজার মানুষের বাস এই শহরে।
প্রতিকূল আবহাওয়ার সঙ্গে বছরের পর বছর কাটিয়ে তাঁরা নিজের শহরকে আপন করে নিয়েছেন। এ শহর সারা বিশ্বের চেনা কারণ এটাই হল পৃথিবীর উত্তর প্রান্তের শেষ শহর। তারপর আর কোনও জনবসতি নেই উত্তর দিকে।
উত্তর মেরুর মধ্যেই পড়ছে এ শহর। দেশ হিসাবে নরওয়ের অংশ। এ শহরে অতি ভয়ংকর ঠান্ডার কারণে এখানে কোনও বেড়াল নেই। এত ঠান্ডায় বেড়ালরা থাকতে পারেনা। তবে ভাল্লুক আছে।
অবশ্যই মেরু ভাল্লুক। আর তাদের জন্যই এ শহরে মানুষের জীবনাবসান হলেও এখানে তাঁদের সমাধিস্থ করা যায়না। এতটাই ঠান্ডা এখানে যে দেহে কোনও পচন তৈরি হয়না। যার ফলে দেহ বরফের তলায় শায়িত করলে ভাল্লুকরা ঠিক টের পেয়ে যায়।
তারপর এসে সেই দেহ নিয়ে টানা হেঁচড়া শুরু করে। এজন্য এ শহরে কেউ ইহলোক ত্যাগ করলে তাঁর দেহ নিয়ে যাওয়া হয় দূরে অন্য শহরে। সেখানে সমাধিস্থ করা হয় তাঁকে।
নরওয়ের এই শহরের নাম লঙ্গিয়ারবিয়েন। নরওয়ের এ শহরই হল পৃথিবীর উত্তরের শেষ শহর। যেখানে মানুষ বছরের ৪ মাস কাটান রাতের অন্ধকারে। এই ৪ মাস সেখানে সূর্যের আলো ফোটে না। ভোরও হয়না। সকাল তো অনেক দূরের কথা।