১টা মাছ ধরে দিতে পারলেই প্রায় ৪ হাজার টাকা, সংস্থার আজব অফার
জল থেকে ১টা মাছ ধরে দিলেই মিলবে ৪ হাজার টাকা। এবার যিনি যটা মাছ ধরতে পারবেন ততই টাকার অঙ্ক বাড়বে। সংস্থার অফার শুনে থ অনেকেই।

সমুদ্রের একটা কোণায় মাছ চাষ করে একটি সামুদ্রিক মাছের সংস্থা। জল থাকে জাল দিয়ে ঘেরা। তারমধ্যেই মাছ চাষ হয়। হালে সেখানে একটি প্রাকৃতিক দুর্যোগ হয়। যার ফলে ওই যে ঘিরে রাখা জাল তার ক্ষতি হয়েছিল।
সেই ক্ষতি এতটাই হয় যে একটা ফাঁক তৈরি হয়ে যায়। আর সেই ফাঁক গলে চাষ করা মাছদের এক তৃতীয়াংশই পালায়। সংস্থার হিসাবে ২৭ হাজার স্যামন মাছ পালিয়ে যায়। পালিয়ে তারা উত্তর পশ্চিম নরওয়ের সমুদ্রতীর ঘেঁষা জলে চলে যায়।
এখন তো তারা মুক্ত জলে ঘুরছে। ফলে তাদের সহজে ফেরানো যাবেনা। কিন্তু এতদিন ধরে যেসব মাছ তারা ওই জালের মধ্যে বড় করেছে তা তারা এভাবে যেতে দিতে চাইছে না। ফিরে পেতে চায়। এজন্য অভিনব এক উদ্যোগ নিল ওই সংস্থা।
তারা নরওয়েতে মাছ ধরার সঙ্গে যুক্ত পেশাদারদের একটি অফার দিয়েছে। ওই জলে মিশে যাওয়া ২৭ হাজার স্যামন মাছের যে কটি তাঁরা ধরে দিতে পারবেন তার প্রতিটি পিছু তাঁরা ৪৫ ডলার করে অর্থ পাবেন। ভারতীয় মুদ্রায় যা ৩ হাজার ৯০০ টাকার একটু বেশি।

বোঝাই যাচ্ছে যে যদি কেউ শতাধিক পালিয়ে যাওয়া স্যামন মাছ ধরে ফেলতে পারেন তাহলে মোটা টাকাই পকেটে পুরতে পারবেন তিনি। এদিকে এই পালিয়ে যাওয়া স্যামন মাছদের থেকে একটা অন্য সমস্যার ভয় পাচ্ছেন বিশেষজ্ঞেরা।
তাঁরা মনে করছেন সম্পূর্ণ নজরদারিতে এবং বিশেষ পদ্ধতিতে বড় করা এই স্যামনরা সমুদ্রে সাধারণভাবে ঘুরে বেড়ানো স্যামনদের জন্য বিপজ্জনক হতে পারে। তাই তাদের যত দ্রুত সম্ভব পাকড়াও করা যায় ততই মঙ্গল।