মহাষ্টমীর সকালে সুরুচি সংঘে হাজির হন অভিনেত্রী তথা তৃণমূল সাংসদ নুসরত জাহান। সঙ্গে ছিলেন তাঁর স্বামী নিখিল জৈন। বিয়ের পর এটাই তাঁদের প্রথম দুর্গাপুজো। নুসরতের পরনে ছিল সোনালি কাজের রক্ত লাল শাড়ি। মাথায় সিঁদুর। স্বামীকে পাশে নিয়ে তিনি অষ্টমীর পুজোও দেন। ছিলেন সুরুচি সংঘের প্রধান তথা রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। সেখানে পুজোর পর অরূপ বিশ্বাস ও নিখিল জৈনকে নিয়ে ঢাকও বাজান নুসরত। রবিবার নুসরতের সেই পুজোয় মিশে যাওয়া সকলেই দেখেছেন। সোমবার নবমী। আর সেদিনই উত্তরপ্রদেশের এক মুসলিম মৌলানা কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন নুসরতকে।
উত্তরপ্রদেশের ওই মুসলিম মৌলানা জানান, ইসলামে অন্য ধর্মের ঈশ্বরকে পুজো করার নিয়ম নেই। নুসরত জাহান সেই কাজ করেছেন। তাই ইসলামের নুসরতকে দরকার নেই। নুসরত জাহান এই কড়া আক্রমণের মুখে পড়ার পর তিনি নিজে কিছু না বললেও তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছেন নেটিজেনরা। ট্যুইটারে কেউ নুসরতকে উৎসাহ দিয়েছেন। কেউ তাঁকে সাহসী নারী বলে ব্যাখ্যা করেছেন। কেউ নুসরতের ধর্মীয় ভেদাভেদের উর্ধ্বে ওঠার বার্তাকে সাধুবাদ জানিয়েছেন। একজন লিখেছেন, তিনি নিজে নুসরতের ভক্ত এমনটা নয়, কিন্তু নুসরতের এই সাহসিকতার জন্য তাঁকে সেলাম জানাচ্ছেন।
নুসরত জাহান কিন্তু অষ্টমীর দিনই বলেছিলেন তিনি চান সকল ধর্মের মানুষ শান্তিতে বসবাস করুন। এই বার্তার কোনও ধর্ম হয়না। তবু ধর্মীয় আক্রমণের মুখে পড়তে হল তাঁকে যা একেবারেই ভাল চোখে নিচ্ছেন না নেটিজেনরা। এক নেটিজেন লিখেছেন, খুব সহজভাবে সকলের হৃদয় জিতে নিয়েছেন নুসরত। তাঁকে এখন সবাই ভালবাসে। এদিকে নুসরতের সঙ্গে ঢাক বাজিয়ে বেজায় খুশি তাঁর স্বামী। তিনি এসবের মধ্যে না ঢুকে ঢাক বাজানোর অভিজ্ঞতা ও ভাল লাগার কথা তুলে ধরেছেন। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা