পুরুষ অক্টোপাসের থেকে মান বাঁচাতে জঞ্জাল ছোঁড়ে স্ত্রী অক্টোপাস
একমাত্র মানুষের মধ্যেই জোর করে মিলনের চেষ্টার ঘটনা ঘটে এমনটা বোধহয় নয়। নারী অক্টোপাসও নিজেকে পুরুষ অক্টোপাসের কুনজর নজর থেকে বাঁচাতে সচেষ্ট।
নারীর সম্মান নেওয়া। তার সঙ্গে বলপূর্বক মিলন। নারীর ইচ্ছার বিরুদ্ধে গিয়ে তাকে শারীরিক ভাবে অসম্মানিত করা। এসব কথা খবরের কাগজে দেখতে পাওয়া যায়।
মনুষ্য জীবনে নির্ভয়ার মত ঘটনাও ঘটে। কিন্তু শুধুই কি মনুষ্য জীবনে এমনটা ঘটে? জীবজগতের অন্য কোনও জীবের ক্ষেত্রে এমনটা হয়না?
উত্তর কিন্তু বলছে হয়। যেমন অস্ট্রেলিয়া, কানাডা ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মিলিত এক গবেষণায় এক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। গবেষকরা জানাচ্ছেন, সমুদ্রের অনেক গভীরে থাকা অক্টোপাসের জীবনেও এমনটা হয়।
পুরুষ অক্টোপাস অনেক সময়ই স্ত্রী অক্টোপাসের কাছে ঘেঁষার চেষ্টা করে। জোর করে তার সঙ্গে মিলনের চেষ্টা করে। ফলে পুরুষ অক্টোপাসের চালচলনের ওপর কড়া নজর রাখে স্ত্রী অক্টোপাস।
একটু বেগড়বাই দেখলেই তারা ফুঁসে ওঠে। স্ত্রী অক্টোপাস সতর্ক থাকে সবসময়। কখন তার ওপর অসৎ উদ্দেশ্য নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে পুরুষ অক্টোপাস।
ধারে কাছে পুরুষ অক্টোপাস দেখলেই স্ত্রী অক্টোপাস সমুদ্রের তলার পাথর, ধুলোবালি, জঞ্জাল সব একত্র করে ফেলে। আর পুরুষ অক্টোপাসটি তার দিকে এলেই ছুঁড়ে মারে সেই জঞ্জাল। যা সজোরে ছুটে গিয়ে লাগে পুরুষটির গায়ে। এর মধ্যে সেখান থেকে পালায় স্ত্রী অক্টোপাসটি।
২০১৫ সালে অস্ট্রেলিয়ার সমুদ্রের তলায় এমন আচরণ প্রথম নজর কাড়ে বিশেষজ্ঞদের। তারপর তাঁরা বিষয়টি নিয়ে গবেষণা করতে গিয়ে অনেক উদাহরণ পান। যা থেকে এটা পরিস্কার হয়েছে তাঁদের কাছে যে স্ত্রী অক্টোপাসও তার ইজ্জত রক্ষা করতে সতর্ক থাকে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা