করোনা সংক্রমণের শিকার এবার ১২৯টি হরিণ
করোনা এবার থাবা বসাল তাদের জীবনেও। ১২৯টি হরিণের দেহে করোনা সংক্রমণের খোঁজ মিলেছে। করোনার ৩টি প্রকার রয়েছে বিভিন্ন হরিণের দেহে।
করোনা ছড়াল কীভাবে? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়ে দেখা গিয়েছিল বাদুড় থেকে এই রোগ ছড়িয়ে থাকতে পারে মানবদেহে। তারপরটা আর নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না।
২টো বছর প্রায় ছারখার করে দিয়েছে করোনা। এখনও ওমিক্রন প্রকার তাণ্ডব করছে বিশ্বজুড়ে। একটি প্রাণি থেকে মানবদেহে ছড়ানোর তত্ত্বে এবার উলটপুরাণের ছোঁয়া।
বাদুড় থেকেই মানুষের শরীরে করোনা সংক্রমণ হয়েছে কিনা তা এখনও নিশ্চিত নয়, তবে মানবদেহ থেকেই যে ১২৯টি হরিণ সংক্রমিত হয়েছে সে বিষয়ে অনেকটাই নিশ্চিত বিজ্ঞানীরা।
করোনা সংক্রমিত মানুষের সংস্পর্শে আসার পরই হরিণগুলি করোনায় আক্রান্ত হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওহিওতে সাদা লেজের হরিণদের দেহে করোনা পাওয়া গিয়েছে।
উপসর্গ লক্ষ্য করার পর ৩৫০টি হরিণের নাক থেকে নমুনা সংগ্রহ করে তা পরীক্ষাগারে পাঠানো হয়। সেই রিপোর্ট বলছে এদের মধ্যে ১২৯টি হরিণই করোনা সংক্রমণের শিকার।
এই হরিণদের দেহে আবার বিভিন্ন রকমের করোনা প্রকার রয়েছে। সাকুল্যে ওহিও-র ৪টি জায়গা মিলিয়ে হরিণদের মধ্যে যে করোনা সংক্রমণ পাওয়া গিয়েছে তার মধ্যে করোনার ৩ রকম ধরন পাওয়া গিয়েছে।
বিজ্ঞানীদের ধারনা সংক্রমিত মানুষের ব্যবহার করা জল পান করেই হরিণগুলি সংক্রমণের শিকার হয়েছে। কারণ এটা আগেই বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন যে মানুষের মল মূত্র এবং ব্যবহৃত জলে করোনার জীবাণু থেকে যাচ্ছে। যা থেকে করোনা ছড়ানোর আশঙ্কাও থেকে যাচ্ছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা