World

দেখলে মনে হবে বইয়ের লাইব্রেরি, সব তাক ভর্তি, তবে একটাও বই নয়

একটা বইয়ের লাইব্রেরি যেমন হয় হুবহু সেই রূপ। বই রাখার মতই চারধারে সাজানো সেলফ। ভর্তি সেসব সেলফে যা থাকে তার একটাও বই নয়।

তিনি তাঁর একটি বিশাল হল ঘরকে কার্যত সেলফে ভরে ফেলেছেন। নির্দিষ্ট ফাঁক রেখেই সেলফ চলে গেছে। ধাপে ধাপে তৈরি তাক। একদম বইয়ের লাইব্রেরি যেমন দেখতে হয় দূর থেকে সেটাই মনে হবে। তাকগুলিও সব ভর্তি। কোথাও প্রায় জায়গা নেই।

কিন্তু তার একটাও বই নয়। তবে প্রতিটি তাক ক্যাটালগ বা তালিকা ধরে সাজানো। বইয়ের মতই সেখান থেকে নামিয়ে নেওয়া যায় এই সংগ্রহ। কিসের সংগ্রহ? উত্তরটা একটু অবাক করতে পারে।


এ সংগ্রহ ইটের। যে কোনও নির্মাণে ইট ছাড়া গতি নেই। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ইটেরও বদল হয়েছে। অনেক সংস্থা তাদের ইট বাজারে এনেছে। দেশ ভেদে ইটও বদলে যায়। দেখতে প্রায় এক হলেও কোথাও না কোথাও আলাদা। সংস্থার নামও স্পষ্ট করে খোদাই করা।

আমেরিকার ওকলাহোমার বাসিন্দা ৮৭ বছরের বৃদ্ধ ক্লেম তাঁর জীবনে একটা একটা করে ইট সংগ্রহ করেছেন। তৈরি করেছেন তাঁর ইটের সংগ্রহশালা। সেখানে বাড়ির অন্য সদস্যরা গিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি করুন তা তিনি চান না।


কারণ প্রতিটি ইট কোন তাকে রাখা তা তাঁর নখদর্পণে থাকে। সম্প্রতি তিনি বাড়ি থেকে বার হতেই তাঁর মেয়ে জামাই মিলে সেই সংগ্রহশালায় ঢুকে ইট গোনেন। দেখা যায় সেখানে রয়েছে ৮ হাজার ৮৮২ রকমের ইট।

প্রতিটি সযত্নে সাজানো। হাজার বছরের পুরনো ইটও তাঁর সংগ্রহে রয়েছে। তিনিই এখন পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি ইট সংগ্রাহক। যাঁর সংগ্রহে যিশুখ্রিস্টের তিরোভাবের ১০০ বছর পরের রোমান ইটও রয়েছে। অনেক ইটই রয়েছে যাদের বয়স শত শত বছর।

কেন তাঁর হঠাৎ ইট সংগ্রহের ইচ্ছা হল? সংগ্রাহকের মতে তিনি ৪০ বছর ধরে অনেক চেষ্টা করে এইসব ইট সংগ্রহ করেছেন। কারণ প্রতিটি ইট কোনও না কোনও সময়ের ইতিহাস বহন করে চলেছে। প্রাচীন ইট সংগ্রাহক হিসাবে ইতিমধ্যেই পৃথিবীর সেরার স্বীকৃতি পেয়েছেন এই অশীতিপর বৃদ্ধ।

Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button