এন্ড দ্যা অস্কার ফর বেস্ট পিকচার গোজ টু ‘লা লা ল্যান্ড’। শব্দটা উচ্চারণের সঙ্গে সঙ্গেই হৈহৈ করে ওঠেন সিনেমাটির সঙ্গে যুক্ত সকলে। অস্কারের মত সম্মান পেয়ে কার্যতই আপ্লুত তাঁরা। গোটা টিমটাই উঠে আসে মঞ্চে। দর্শকরাও করতালি দিয়ে তাঁদের সাফল্যকে অভিনন্দন জানাচ্ছেন। ঠিক এই সময়েই সকলকে চমকে দিয়ে ঘোষক ওয়ারেন বিটি আত্মহারা টিম ‘লা লা ল্যান্ড’-কে থামিয়ে দিয়ে ঘোষণা করেন, তাঁর ভুল হয়েছে। সেরা ছবির সম্মান পাচ্ছে ‘মুনলাইট’! এতক্ষণ যে মঞ্চে খুশির বন্যা বইছিল, সেখানেই মুহুর্তে নেমে আসে শ্মশানের নিস্তব্ধতা। কতক ক্ষোভও। তাঁদের সঙ্গে এভাবে মস্করার মানে কী? প্রশ্নটা চোখে মুখে নিয়েই স্তম্ভিত লা লা ল্যান্ডের গোটা টিম। ৮৯ তম অ্যাকাডেমি অ্যাওয়ার্ডস-এর মঞ্চে ঘটা এই ঘটনায় হতবাক শুধু সেখানে উপস্থিত দর্শকরাই নন, গোটা বিশ্ব। কেউই মনে করতে পারছেন না এমন ঘটনা এর আগে অস্কারের মঞ্চে ঘটেছিল কিনা। এবারের অস্কারে লা লা ল্যান্ডের রমরমা। প্রথম থেকেই একের পর এক অ্যাকাডেমি যাচ্ছিল তাদের পকেটে। সেরা পরিচালক থেকে সেরা অভিনেত্রী একের পর এক বিভাগের নাম ঘোষণা হয়েছে, আর ঘোষণা হয়েছে লা লা ল্যান্ডের নাম। ফলে ঘোষকদের মনেও একটা ধারণা জন্মে গিয়েছিল লা লা ল্যান্ডই পাচ্ছে সেরা ছবির তকমা। হয়তো সেখানেই ভুল করে ফেলেন বিটি। ভুলের কথা স্বীকার করলেও সমালোচনা তাঁর পিছু ছাড়ছে না। টিভিতে বাইট থেকে ট্যুইটারে মস্করা, সবই আছড়ে পড়ছে নিরন্তর। হতবাক বলিউডও। অস্কারের মঞ্চে এমন হতে পারে তা মানতে পারছেন না শাবানা আজমি থেকে কর্ণ জোহররা। তবে দারিদ্রের সঙ্গে এক বালকের লড়াই ও মায়ামিতে তাঁর তার যৌন জীবনকে সামনে রেখে পরিচালক আদেল রোমানস্কির মুনলাইট প্রান্তিক কালো চামড়ার কিশোর ও বাদামী চামড়ার কিশোরীদের অনুপ্রাণিত করবে বলেই মনে করছেন পরিচালক।