চলচ্চিত্র জগতের চূড়ান্ত স্বীকৃতির নাম ‘অস্কার’। কে না তাকে পেতে চান? নিজের সেরাটুকু উজাড় করে তাকে অর্জন করেছিলেন ফ্রান্সেস ম্যাকডর্মান্ড। তাঁর এই প্রাপ্তি ‘থ্রি বিলবোর্ডস আউটসাইড এবিং, মিসৌরি’ ছবিতে দুর্ধর্ষ অভিনয়ের জন্য। লস অ্যাঞ্জেলসের ডলবি থিয়েটারের মঞ্চে দাঁড়িয়ে গত রবিবার স্বভাবতই আবেগে ভেসে যান ২০১৮-র সেরা অভিনেত্রীর অস্কার জয়ী ফ্রান্সেস। অনুষ্ঠান শেষ হলে অস্কার নির্দিষ্ট জায়গায় রেখে বল পার্টিতে মেতে ওঠেন তিনি। পার্টি শেষে পুরস্কার নিতে গিয়ে মাথায় বাজ পড়ে অভিনেত্রীর। দেখেন, যেখানে তিনি অস্কারস্মারকটি রেখে গিয়েছিলেন সেখান থেকে বেমালুম উধাও সেটি! অমূল্য স্বর্ণপুরুষকে হারিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন ম্যাকডর্মান্ড। শুরু হয় অস্কারের খোঁজ। ঘটনাস্থলে ডেকে আনা হয় লস অ্যাঞ্জেলসের পুলিশকে। ঘটনার তদন্তে নামেন তাঁরা। অবশেষে ম্যাকডর্মান্ডের হারানো ধনের খোঁজ মেলে অনুষ্ঠানের এক নিরাপত্তারক্ষীর কাছে। তাঁর কাছ থেকে চাঞ্চল্যকর তথ্য জানতে পারেন তদন্তকারীরা।
নিরাপত্তারক্ষী জানান, এক অপরিচিত ব্যক্তি অনুষ্ঠান শেষে ম্যাকডর্মান্ডের অস্কারটি নিয়ে প্রথমে ছবি তোলে। তারপর সুযোগ বুঝে অস্কারটি নিয়ে ডলবি থিয়েটার থেকে বেড়িয়ে যায় সে। পুরো বিষয়টির মধ্যে গোলমালের গন্ধ পেয়ে ওই ব্যক্তির পিছু নেন নিরাপত্তারক্ষী। অবস্থা বেগতিক বুঝে পরে নিরাপত্তারক্ষীকে অস্কার ফেরতও দিয়ে দেয় ওই ব্যক্তি।
ফের শুরু হয় অস্কার চোরের খোঁজ। অবশেষে ফেসবুকে পাওয়া যায় তার হদিশ। জানা যায়, ম্যাকডর্মান্ডের অস্কারকে নিজের বলে দাবি করেছে আরেক ব্যক্তি। তার নাম টেরি ব্রায়ান্ট। বছর ৪৭-এর ওই ব্যক্তির দাবি, সে আর তার দল নাকি সঙ্গীত বিভাগে অস্কারটি জয় করেছে। তার সেই দাবি বিশ্বাসও করে নেন নেটিজেনরা। কারণ, সেরা অভিনেত্রীর অস্কার চুরির খবর তাঁদের অনেকেরই জানা ছিল না। তাই সরল বিশ্বাসে ফেসবুক ফ্রেন্ড টেরিকে শুভেচ্ছার বন্যায় ভাসিয়ে দেন অনেকেই। টেরির সেই পোস্ট নজরে আসে পুলিশের। তাদের প্রাথমিক অনুমান, অস্কারের মঞ্চে প্রবেশের টিকিট পেয়েছিল অভিযুক্ত। অনুষ্ঠান শেষ হলে তারকাদের পার্টিতে যোগ দেওয়ার সুযোগ কাজে লাগায় সে। একফাঁকে ম্যাকডর্মান্ডের পুরস্কার চুরিও করে টেরি। অস্কার চুরির অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে টেরিকে।