SciTech

আসতে চলেছে প্রোটিন সমৃদ্ধ আরশোলার দুধ

আরশোলা থেকে ভবিষ্যতে মানবসভ্যতা হয়তো পেতে চলেছে উচ্চ প্রোটিনযুক্ত দুধ। প্রশ্ন ওঠে, আরশোলা তো স্তন্যপায়ী প্রাণি নয়। তাহলে কি করে এটা সম্ভব।

আরশোলা! নামটা শুনলেই অধিকাংশ মানুষের গা ঘিনঘিনয়ে ওঠে। হাতের কাছে যা পাওয়া যায়, তাই দিয়েই মনে হয় মারি। কিন্তু, আরশোলাকে ঘেন্না করার দিন বোধহয় শেষ হতে চলেছে।

আরশোলার থেকে ভবিষ্যতে মানব সভ্যতা হয়তো পেতে চলেছে উচ্চ প্রোটিনযুক্ত দুধ। যাতে রয়েছে প্রোটিন, অ্যামিনো অ্যাসিড, শর্করাসহ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। যা অত্যন্ত স্বাস্থ্যকর। এমনটাই দাবি করেছেন আটলান্টার প্রাকৃতিক মিউজিয়ামের অধিকর্তা।


তবে সেই দুধ আপনার-আমার বাড়িতে বহাল তবিয়তে ঘুরে বেড়ানো আরশোলা থেকে মিলবে না। ভারতীয় আরশোলা থেকে পাওয়া যাবে না এই দুধ। পাওয়া যাবে প্রশান্ত মহাসাগরীয় ‘বিটল্ রোচ’ নামে বিশেষ প্রজাতির আরশোলার থেকে।

এখন প্রশ্ন ওঠে, আরশোলা তো স্তন্যপায়ী প্রাণি নয়। তাহলে কি করে তার শরীরে দুধ উৎপন্ন হবে? বাস্তবে স্তন্যপায়ী প্রাণির থেকে এদের দেহে দুধ উৎপাদন হওয়ার প্রক্রিয়া পুরোপুরি আলাদা।


‘ডিপ্লোপতেরা পাংকতাতা’ নামে এই বিশেষ প্রজাতির আরশোলার সন্তান জন্মানোর পদ্ধতি বাকি প্রজাতির আরশোলাদের থেকে একদম আলাদা। সাধারণত ডিম ফুটে আরশোলার বাচ্চা হয়। কিন্তু বিটল্ রোচদের শিশুভ্রুণ আরশোলার শরীরের মধ্যেই বাড়তে থাকে।

গর্ভাবস্থায় বাচ্চাদের বৃদ্ধি ও পুষ্টির জন্য আরশোলার শরীরে তৈরি হয় একধরণের স্বচ্ছ তরল পদার্থ। যা পরে ঘন হয়ে সাদা দুধের মতো আকার ধারণ করে।

এই তরল ভ্রূণের ভিতরে জমা থাকে। এই দুধের কারণেই ভিভিপারস প্রজাতির আরশোলাগুলি আকারে অন্যদের থেকে অনেক বড় হয়।

এখন বিজ্ঞানীদের একটাই লক্ষ্য, যত দ্রুত সম্ভব সহজ পদ্ধতিতে এই দুধ উৎপাদন ও সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা। যাতে চাহিদামত তা বেশি সংখ্যক মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া যায়।

Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button