পূর্ব প্রশান্ত মহাসাগরের আন্তর্জাতিক জলক্ষেত্র। এখানেই টহল দিচ্ছিল মার্কিন উপকূলরক্ষী বাহিনীর একটি জাহাজ। জলে ভেসে বেড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে কড়া নজর রাখছিল সবদিকে। ঠিক সেই সময়ই তাদের নজরে পড়ে একটি নারকো-সাবমেরিন। এই ধরনের জলযান প্রধানত ব্যবহার করে মাদক পাচারকারীরা। এই নারকো-সাবমেরিনের পুরে প্রচুর পরিমাণে নিষিদ্ধ মাদক পাচার করে তারা।
জলে ভেসে চলা এই নারকো-সাবমেরিনটি দেখার পরই আর সময় নষ্ট করেননি মার্কিন উপকূলরক্ষী বাহিনীর এক আধিকারিক কাটার মুনরো। তিনি সময় নষ্ট না করে নারকো সাবমেরিনটি পালানোর আগেই তার ওপর লাফিয়ে পড়েন। তাঁর সহকর্মীরাও হকচকিয়ে যান তাঁর এই দুঃসাহসী কাণ্ডে। একদম হলিউডের সিনেমার মত ঝাঁপ দেন তিনি। এমন কাণ্ড সিনেমাতেই দেখা যায়।
মুনরোর মাথায় ছিল একটি হেলমেট। তাতে ক্যামেরা লাগানো ছিল। এদিকে উপকূলরক্ষী বাহিনীর জাহাজ থেকেও এই ঘটনার ভিডিও হতে থাকে। জলের সঙ্গে লড়াই করে নারকো সাবমেরিনের সঙ্গে ভেসে চলতে চলতে স্প্যানিশ ভাষায় সেটিকে থামাতে নির্দেশ দিতে থাকেন মুনরো। অবশেষে তাঁর সাহসী পদক্ষেপের সামনে মাদক পাচারকারীরা অসহায় আত্মসমর্পণে বাধ্য হয়।
ওই নারকো সাবমেরিন থেকে ১৬ হাজার পাউন্ড কোকেন উদ্ধার হয়েছে। মার্কিন মুলুকে যার আনুমানিক মূল্য ২৬২ মিলিয়ন ডলার। ১ হাজার ৭৯৮ কোটি ৮২ লক্ষ ৬৫ হাজার টাকা। এই বিপুল অঙ্কের কোকেন উদ্ধারের পর কার্যত হিরোর অভিনন্দন পাচ্ছেন মুনরো। দেশের বহু মানুষের জীবন তিনি রক্ষা করেছেন বলে মার্কিন উপকূলরক্ষী বাহিনীর তরফে জানানো হয়েছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা