৫০০ বছর ধরে জলের তলায় থাকা আশ্চর্য এতদিনে নজরে এল বিজ্ঞানীদের
বিরল আবিষ্কার বললেও কম বলা হয়। ৫০০ বছর ধরে যা জলের তলায় বহাল তবিয়তে ছিল সেই আশ্চর্যকে এতদিনে দেখতে পেলেন বিজ্ঞানীরা।
এমন নয় যে এমন জায়গায় ছিল তা নজরে পড়ার কথা নয়। তা যে অতি গভীরে ছিল, ধারেকাছে কোনও জমি ছিলনা এমনটাও নয়। তবু এতদিনে কারও নজরে পড়েনি। ছিল কিন্তু ৩টি দ্বীপের মাঝেই জলের তলায়। সে ৩টি দ্বীপে মানুষও থাকেন।
প্রশান্ত মহাসাগরের ওপর সলোমন দ্বীপরাষ্ট্রের মাঝেই প্রায় ৫০০ বছর ধরে দিব্যি ছিল এই প্রবাল। যা এতদিনে নজরে এল বিজ্ঞানীদের। প্রবাল নানা জায়গায় নজরে আসে। কিন্তু এর বিশেষত্ব হল এটি বিশ্বের সবচেয়ে বড় প্রবাল।
ফলে অস্ট্রেলিয়ার প্রবাল প্রাচীর যেমন বিশ্বখ্যাত তেমনই এটাও নিমেষে খ্যাতি পেল আবিষ্কারের পরই। কারণ এত বড় প্রবাল অস্ট্রেলিয়ার প্রবাল প্রাচীরেও দেখা যায়নি। এটিই এখনও পর্যন্ত দেখা প্রবালদের মধ্যে সবচেয়ে বড়।
কত বড়? বিজ্ঞানীরা হিসাবে করে জানাচ্ছেন, প্রবালটি ৩৪ মিটার বিস্তৃত, ৩২ মিটার লম্বা এবং সাড়ে ৫ মিটার উচ্চতার। প্রায় ১০০ কোটি পলিপ দিয়ে তৈরি এই প্রবালটির বয়স ৩০০ থেকে ৫০০ বছর বলেই জানাচ্ছে সমুদ্র বিজ্ঞানীদের দলটি। যারা এর খোঁজ পেয়েছে সলোমন দ্বীপপুঞ্জের থ্রি সিস্টার্স নামে খ্যাত ৩টি দ্বীপের মাঝে।
প্রবাল বা কোরালটি খুব ভাল অবস্থায় রয়েছে। এটা যেমন ভাল খবর তেমন একটি খারাপ খবরও দিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। তাঁরা জানাচ্ছেন, এই কোরালটির ২টি দিক থেকে বিপদ হতে পারে।
প্ৰথমত এটি বিশ্ব উষ্ণায়নের ধাক্কা সামাল দেওয়ার মত ক্ষমতা সম্পন্ন নয়। ফলে উষ্ণায়নের অতিরিক্ত ছোঁয়া এটিকে নষ্ট করে দিতে পারে। দ্বিতীয়ত, মানুষ যদি এটা জানতে পারার পর এটার কাছে পৌঁছে বা এটার কাছাকাছি কোনও কিছু করে তাহলে এই শতাব্দী প্রাচীন কোরাল অচিরেই শেষ হয়ে যাবে। আর তা হলে শেষ হয়ে যাবে বিশ্বের সবচেয়ে বড় আবিষ্কৃত কোরাল। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা