এ পৃথিবীতেই রয়েছে মহাকাশযানের কবরখানা, যেখানে মানুষ সহজে পৌঁছতে পারেনা
মহাকাশযানের কবরখানা বলেই এই অংশকে চেনেন সকলে। যেখানে মানুষের পৌঁছনো প্রায় অসম্ভব। এ জায়গায় যাওয়ার চেষ্টাও করেননা কেউ।

মহাকাশ বিজ্ঞান যত শক্তিশালী হচ্ছে, প্রযুক্তিগত উন্নতির হাত ধরে ততই মানুষ মহাকাশে যাতায়াত বাড়াচ্ছে। সেখানে রকেট যাচ্ছে। কৃত্রিম উপগ্রহ যাচ্ছে। মহাকাশে পৌঁছে কাজ করা হোক বা মহাকাশে কোনও যানকে কাজের জন্য পৌঁছে দেওয়া রকেটই হোক, তারও তো শেষ আছে।
এদের আয়ু ফুরোলে তাদের তো নষ্ট করে ফেলতে হবে। কিন্তু কীভাবে? মহাকাশে এমন নষ্ট হওয়া নানা যন্ত্র মহাকাশের জঞ্জাল বাড়িয়ে তুলছে। যা আবার মানুষের চিন্তাও বাড়িয়ে তুলছে।
আয়ু ফুরোনো এসব যানকে ধ্বংস করে দিতে হবে। এজন্য বিশেষজ্ঞেরা মহাকাশযান নষ্ট করার একটা কৌশল বার করেছেন। তাঁরা মহাকাশযানকে নষ্ট করছেন প্রশান্ত মহাসাগরের ওপর এনে ফেলে।
তবে প্রশান্ত মহাসাগরের যে কোনও জায়গায় ফেলছেন না বিজ্ঞানীরা। দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরের একটি বিশেষ স্থানেই তা ফেলা হয়। যার আড়াই হাজার কিলোমিটারের মধ্যে কোনও স্থলভাগ নেই।
এই জায়গাকে বিজ্ঞানীরা মহাকাশযান ধ্বংস করার জন্য বেছে নিয়েছেন কারণ যানটি আছড়ে পড়ার সময় তা কোনওভাবেই মানুষের কোনও ক্ষতি যাতে না করে। বহু বহু দূর পর্যন্ত কোনও স্থলভাগ না থাকায় এখানেই নিশ্চিন্তে মহাকাশযানগুলিকে কার্যত কবর দিচ্ছেন তাঁরা।
এখানে জলের তলায় পড়ে আছে এমন আড়াইশোর ওপর মহাকাশযানের ধ্বংসাবশেষ। প্রশান্ত মহাসাগরের বুকে এই জলভাগেই আয়ু শেষে একসময় আছড়ে পড়বে আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনও। তবে এসব নষ্ট হওয়া মহাকাশযান থেকে জলজ প্রাণের যাতে কোনও ক্ষতি না হয় সেদিকটাও নজরে রাখার চেষ্টা হচ্ছে।