সেন্সর বোর্ডের শর্ত মেনে সঞ্জয় লীলা বনশালির সিনেমা ‘পদ্মাবত’ মুক্তি পাওয়ার ছাড়পত্র হাতে পেয়েছে। কিন্তু তারপরও সেই সিনেমা হলে প্রকাশ বন্ধ করতে উঠেপড়ে লেগেছে করণী সেনা সহ বেশ কয়েকটি সংগঠন। সিনেমা হলে ভাঙচুর, আগুন, পোস্টার ছেঁড়ার মত কার্যকলাপ ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে। গত রবিবার এসবের মধ্যেই চিতোরগড় দুর্গ থেকে শহরের প্রধান বাজার পর্যন্ত মিছিল করলেন প্রায় ২ হাজার মহিলা। মিছিল থেকে তাঁরা জানিয়েছেন হয় পদ্মাবত প্রদর্শন বন্ধ করা হোক, নাহলে তাঁরা সকলে জহরব্রত পালন করবেন। জহরব্রত পালন অর্থাৎ আগুনে ঝাঁপ দিয়ে মৃত্যু বরণ করা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে উদ্দেশ্য করে এই মর্মে চিঠিও লিখেছেন তাঁরা। চিঠিতে তাঁরা পরিস্কার করে দিয়েছেন হয় আগামী ২৫ জানুয়ারি পদ্মাবতের আত্মপ্রকাশ বন্ধ করতে হবে। নাহলে আগামী ২৪ জানুয়ারি তাঁরা জহরব্রত পালন করবেন।
অন্যদিকে শ্রী রাজপুত করণী সেনার তরফে আগামী ২৫ জানুয়ারি পদ্মাবত প্রকাশ পেলে দেশ জুড়ে বন্ধ পালনের ডাক দেওয়া হয়েছে। তাঁরা তাঁদের হলে এই সিনেমা দেখাবেন না বলে বহু মাল্টিপ্লেক্স মালিককে মুচলেকাও দিতে হয়েছে। তারপরও কেউ যদি এই সিনেমা হলে দেখানোর চেষ্টা করেন তবে তার পরবর্তী ফলের জন্য তাঁরা নিজেরাই দায়ী থাকবেন বলেও হুশিয়ারি দিয়েছে এই সংগঠন। ফলে সেন্সর বোর্ডের ছাড়পত্র থাকলেও পদ্মাবতের মুক্তি যে খুব সহজ ও সুখের হবে না, তার ইঙ্গিত আগে থেকেই মিলতে শুরু করেছে।