ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে পুরো দস্তুর যুদ্ধ লাগতে চলেছে। আর সেই যুদ্ধ লাগবে আগামী অক্টোবর বা নভেম্বরে। পাকিস্তানের রেলমন্ত্রী শেখ রশিদ আহমেদ এমনই দাবি করে হৈচৈ ফেলে দিলেন। জম্মু কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের পর থেকেই পাকিস্তান মরিয়া হয়ে উঠেছে। বারবার তারা বিভিন্ন দেশ থেকে রাষ্ট্রসংঘ সকলের দরজায় কড়া নেড়ে এই বিষয়ে তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপ চাইছে। কিন্তু প্রায় সব জায়গাতেই ব্যর্থ হতে হচ্ছে তাদের। প্রায় সকলেই জানিয়ে দিয়েছে কাশ্মীর ভারতের আভ্যন্তরীণ বিষয়। এভাবে হতাশ হতে হতে হালে পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানও যুদ্ধের সম্ভাবনায় হাওয়া দিয়েছেন। তবে সরাসরি এভাবে যুদ্ধ হতে যাচ্ছে বলে দাবি করে প্রকাশ্যে মন্তব্য করেননি।
পাকিস্তানের রাওয়ালপিন্ডিতে কাশ্মীরীদের পাশে থাকার বার্তা দিতে গিয়ে শেখ রশিদ আহমেদ আগামী অক্টোবর বা নভেম্বরে ভারত-পাক যুদ্ধের সম্ভাবনার জল্পনা উস্কে দিয়েছেন। তিনি এমনও জানিয়েছেন যে কাশ্মীরের স্বাধীনতার জন্য শেষ লড়াইয়ের সময় এসে গেছে। ভারতের সঙ্গে এই যুদ্ধই হবে শেষ যুদ্ধ। কাশ্মীরে সমস্যা সৃষ্টির জন্য ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে কাঠগড়ায় চাপিয়ে পাক মন্ত্রীর দাবি মোদী হিটলারের মত আচরণ করছেন।
রাষ্ট্রসংঘে কড়া নেড়ে কার্যত ব্যর্থ হয়েছে পাকিস্তান। এবার তাই রাষ্ট্রসংঘের প্রতিও তাদের অনাস্থা প্রকাশ্যে জানিয়ে দিয়েছেন পাক রেলমন্ত্রী। তাঁর দাবি, কাশ্মীরের ভাগ্য কাশ্মীরের জনগণ স্থির করবে। রাষ্ট্রসংঘ নয়। তাঁর মতে, রাষ্ট্রসংঘ চাইলে কাশ্মীরে গণভোট হতে পারত। এদিকে কাশ্মীর ইস্যুতে প্রায় সারা বিশ্বের কাছেই কোণঠাসা হওয়ার পর পাক মন্ত্রী খোলাখুলিই জানিয়েছেন, তাঁদের এটা সৌভাগ্য যে তাঁদের চিনের মত একটা সঙ্গী রয়েছে। তাঁর মতে, এই অঞ্চলে ভারত একাধিপত্য চাইছে। কিন্তু সেই একাধিপত্যের পথে সবচেয়ে বড় বাধা পাকিস্তান। এখন ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের কথা বললেও কদিন আগেই পাক রেলমন্ত্রীর দাবি ছিল, যুদ্ধ লাগলে এই গোটা উপমহাদেশের কোনও দেশই তার আঁচ থেকে রেহাই পাবেনা। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা