১ লিটার পেট্রোলের দাম এখানে ১১৩ টাকা। ১ লিটার ডিজেল ৯১ টাকা। আর সেখানে ১ লিটার দুধের দাম কিনা ১৪০ টাকা! চমকে দেওয়ার মত এই খবর এখন গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে। বেশি দূরে যেতে হবে না। পাকিস্তানে এখন দুধ কেনা কার্যত সাধারণ মানুষের সাধ্যের বাইরে। যেখানে একটি শিশুর দুধ আবশ্যিক। সেখানে দুধের এমন লাগাম ছাড়া দামে নিয়ন্ত্রণ আনতে পারছে না ইমরান সরকার। বরং দুধের দাম লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে।
মুসলিম প্রধান রাষ্ট্র পাকিস্তানে মহরম পালিত হয়েছে ধর্মীয় রীতিনীতি মেনেই। কিন্তু পরবের সময়ে এমন লাগাম ছাড়া দুধের দামে মাথায় হাত পড়েছে সকলের। করাচি বা সিন্ধ প্রদেশে দুধের আকাল তৈরি হয়েছে। টাকা দিতে চাইলেও দুধ পাওয়া মুশকিল হচ্ছে। সিন্ধে নাকি ১৪০ টাকারও বেশি দামে বিকোচ্ছে ১ লিটার দুধ। গোটা দেশে দুধের জন্য হাহাকার পড়ে গেছে।
মহরমের সময় দুধের চাহিদা বৃদ্ধি পায় প্রতি বছরই। তার কারণ বিভিন্ন শহরের যেসব রাস্তা দিয়ে মহরমের শোভাযাত্রা বার হয় সেখানে রাস্তার ধারে ধারে দুধ, সরবত ও ঠান্ডা জলের ছত্র খোলা হয়। যাঁরা শোভাযাত্রায় অংশ নিয়েছেন তাঁদের এখান থেকে দুধ, সরবত ও ঠান্ডা পানিয় জল দেওয়া হয়। এজন্য সারা দেশেই প্রবল দুধের চাহিদা তৈরি হয়। কিন্তু এটা পাক সরকারের কাছে নতুন নয়। তবু কেন ব্যবস্থা আগে থেকে নেওয়া হল না তা নিয়ে ক্ষোভ আছড়ে পড়ছে পাকিস্তানে।
এমনকি পাকিস্তানের স্থানীয় মানুষজন বলছেন মহরমের সময় দুধের চাহিদা বাড়ে ঠিকই কিন্তু কোনও কালে এমন দুধের আকাল আর আকাশ ছোঁয়া দাম তাঁরা দেখেননি। অনেক পরিবার পাকিস্তানে মহরমের দিনে ছত্র দিয়ে থাকেন। তাঁরা আবার দুধ বাদ দিয়ে ছত্র খুলতে পারবেন না বলে জানিয়ে দেন। কিন্তু দুধ আসবে কোথা থেকে। সেটাই এখন পাকিস্তানে বড় প্রশ্ন। পাকিস্তানের করাচি শহরেই দুধের দাম সরকার বেঁধে দিয়েছে ৯৪ টাকা প্রতি লিটারে। কিন্তু সে দামে বাজারে দুধ মিলছে না। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা