ঝগড়া তাদের প্রায়ই হত। নতুন কিছু নয়। পরিবারের লোকজনই জানাচ্ছেন স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে প্রায়শই নানা বিষয়ে খিটিমিটি লেগে থাকত। ঝগড়া হত। এদিনও ঝগড়া বাঁধার পর কেউ তাঁদের ঝগড়ায় নাক গলাননি। সকলেই ধরে নিয়েছিলেন এতো নিত্য দিনের ঘটনা। এদিকে ঝগড়া ক্রমশ চড়া হতে থাকে। স্বামী-স্ত্রীর সেই তুমুল ঝগড়ার সাক্ষী ছিল তাদের মেয়ে। সে এক কোণে বসে বাবা-মায়ের ঝগড়া দেখছিল।
সেই মেয়েই জানিয়েছে, প্রথমে তার বাবা একটি পাইপ নিয়ে মাকে মারতে যায়। তারপর সেটা ফেলে কোথা থেকে একটা বড় ছোরা নিয়ে আসে। সেই ছোরা দিয়ে মায়ের নাক কেটে নেয় তার বাবা। মায়ের চুলও কেটে দেয় ওই ছোরা দিয়ে। তারপর বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়। এই ঘটনায় রক্তাক্ত অবস্থায় ওই মহিলাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। নাক কাটা অবস্থায় আপাতত হাসপাতালের বেডে শুয়ে আছেন তিনি।
এদিকে ঘটনার পর থেকেই বেপাত্তা অভিযুক্ত ব্যক্তি। সাজিদ নামের ওই ব্যক্তিকে খুঁজছে পুলিশ। এই ঘটনায় মেয়ের বয়ান খুব গুরুত্বপূর্ণ হয়েছে পুলিশের কাছে। কারণ সে একমাত্র প্রত্যক্ষদর্শী। কিন্তু কেন ঝগড়া? ওই কিশোরীই জানিয়েছে তার মা ব্যয় সংকোচ করার জন্য কিছু কমিটিতে যুক্ত। যা তার বাবার নাপসন্দ ছিল। এই নিয়েই ঝগড়া শুরু হয়। ঘটনাটি ঘটেছে পাকিস্তানের লাহোরে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা