৪ কিশোর নিখোঁজ ছিল গত ৭৫ দিন ধরে। অবশেষে তাদের মধ্যে ৩ জনের দেহ উদ্ধার করল পুলিশ। তাদের রক্তাক্ত দেহ পরীক্ষার পর পুলিশের ধারণা তাদের প্রথমে ধর্ষণ করে তারপর হত্যা করা হয়েছে। পাশবিকভাবে ধর্ষণের পর ওই ৩ কিশোরকে হত্যা করে মাটিতে পুঁতে ফেলা হয়েছিল। এই ঘটনা জানাজানি হতেই এলাকা জুড়ে বিক্ষোভ শুরু হয়ে যায়। বহু মানুষ বিক্ষোভে সামিল হন। ক্রমশ পরিস্থিতির অবনতি হতে থাকে। বুধবার সকালেই পথ অবরোধ করেন স্থানীয় মানুষজন। দোষীদের অবিলম্বে গ্রেফতার করে শাস্তির দাবিতে সোচ্চার হন তাঁরা।
পথ অবরোধের পাশাপাশি অনেক রাস্তায় টায়ার সহ অন্যান্য জিনিস জ্বালিয়ে প্রতিবাদ জানানো হয়। ঘেরাও হয় স্থানীয় থানা। পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগে সবর হন সকলে। প্রতিবাদে সামিল হন শহরের আইনজীবীরাও। তাঁরা কাজ বন্ধ রেখে বিক্ষোভে সামিল হন। বিক্ষোভে সামিল হন ব্যবসায়ীরাও। ফলে পাকিস্তানের কাসুর শহর বুধবার সকাল থেকেই প্রবল বিক্ষোভে স্তব্ধ। পুলিশ কার্যত কোণঠাসা।
বিক্ষোভরত স্থানীয়দের আরও দাবি চতুর্থ কিশোরের খোঁজ তো নেই। তারসঙ্গে কাসুর থেকে আরও এক কিশোর গায়েব হয়েছে। তাঁদের ধারণা এর পিছনে একটা বড় ব়্যাকেট রয়েছে। যারা কিশোরদের অপহরণ করে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে হত্যা করছে। প্রবল বিক্ষোভের মুখে পুলিশ ইতিমধ্যেই ৯ জন সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করেছে। তাদের ডিএনএ পরীক্ষাও করা হচ্ছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা