গত মঙ্গলবার দিল্লি, কাশ্মীর, উত্তরাখণ্ড, পঞ্জাব বা হরিয়ানা কেঁপে উঠেছিল মাঝারি কম্পনে। তবে ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল পাকিস্তানের রাওয়ালপিন্ডির কাছে। ফলে ৬.৩ মাত্রার কম্পনে পাকিস্তানের বড়সড় ক্ষতি হয়েছে। বহু রাস্তাঘাট ভেঙে গিয়েছে। সম্পত্তির ক্ষতি হয়েছে। আর সবচেয়ে বড় যে ক্ষতি হয়েছে তা হল প্রাণহানি। পাকিস্তানে ভূমিকম্পের পর থেকেই একে একে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। এখনও ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে একের পর এক মৃতদেহ বেরিয়ে আসছে। ফলে মৃতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। এখনও পর্যন্ত ৩৪ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলেই মনে করছেন উদ্ধারকারীরা।
ভূমিকম্পে পাকিস্তানের মিরপুর জেলা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। শুধু এই জেলাতেই ২৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া জাটলান থেকে ৯ জন ও ঝিলম থেকে ১ জনের দেহ উদ্ধার হয়েছে। মৃতের পাশাপাশি এখনও পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ৪০০ জন আহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ১৬০ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছে মিরপুরের স্থানীয় প্রশাসন।
পাক সেনা রাস্তা ঠিক করার কাজে ইতিমধ্যেই হাত দিয়েছে। বহু রাস্তা টুকরো টুকরো হয়ে গেছে। কোথাও ফেঁপে উঠেছে। কম্পনের সময় বহু গাড়ি রাস্তার এই পরিস্থিতির শিকার হয়েছে। ভাঙা রাস্তা মেরামত করে আগামী বৃহস্পতিবারের মধ্যে ছোট গাড়ি চলাচলের যোগ্য করে গড়ে তোলার চেষ্টা চলছে। অনেকের বাড়ি ভেঙে পড়েছে। তাঁদের অস্থায়ী শিবিরে এনে রাখা হয়েছে। সেখানে খাবারের প্যাকেট পাঠাচ্ছে প্রশাসন। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা