World

প্রথম ঋতুস্রাব হলেই নাবালিকাকে বিয়ে করা যাবে, আদালতের নির্দেশে হৈচৈ

মেয়েটি ক্যাথলিক। বয়স ১৪। নাম হুমা ইউনুস। তাকে নিয়ে যায় এক ব্যক্তি। অভিযোগ, তারপর তার ধর্ম পরিবর্তন করে তাকে বিয়ে করে। এই ঘটনার বিরুদ্ধে ওই মেয়েটির পরিবার আদালতের দ্বারস্থ হয়। সেই মামলায় পাকিস্তানের করাচির সিন্ধ হাইকোর্ট জানিয়ে দিয়েছে যে প্রথম ঋতুস্রাব হতে হবে। তাহলেই সেই নাবালিকাকে কোনও পুরুষের বিয়ে করতে আর বাধা নেই। আদালতের এই নির্দেশের পরেই প্রবল হৈচৈ শুরু হয়েছে এ নিয়ে।

খোদ পাকিস্তানের সাংবাদিকরাই এর প্রতিবাদে প্রতিবেদন তৈরি করেছেন। বিশেষত এগিয়ে এসেছেন মহিলা সাংবাদিকরা। শরিয়ত আইনকে সামনে রেখে আদালতের এহেন রায়ের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন তাঁরা। সে দেশে সংখ্যালঘুদের কী অবস্থা তাও তুলে ধরা হয়েছে নানা প্রতিবেদনে। এদিকে রায়ের পর হুমার মা প্রবল ক্ষোভের সঙ্গে জানিয়েছেন যদি পাকিস্তানে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্মান্তরিত করে তারপর নাবালিকাদের এভাবে বিয়ে করা হতেই থাকে তাহলে কী পাকিস্তানে খ্রিস্টান মায়েরা তাঁদের মেয়েদের মেরে ফেলবেন?


পাক আদালতের এই রায়ের বিরোধিতা করেছেন ইউরোপের খ্রিস্টানরাও। তাঁরা এই বিষয়ে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন কমিশনের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন। এই রায়কে সামনে রেখে পাকিস্তানের সঙ্গে যাবতীয় সম্পর্ক সব দেশের ছিন্ন করা উচিত বলেও জানিয়েছেন তাঁরা। ঘরে বাইরে এভাবেই প্রবল চাপের মুখে পড়েছে সিন্ধ হাইকোর্টের এই রায়। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা


Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button