বাড়িঘরের ওপর ভেঙে পড়া বিমান থেকে উদ্ধার ৯৭টি দেহ
জনবসতির ওপর ভেঙে পড়া বিমান থেকে একে একে বেরিয়ে আসছে দেহ। ৯৭টি দেহ উদ্ধার হয়েছে। ২ জন এই বিমান দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেয়েছেন।
করাচি : ৯১ জন যাত্রী ও ৮ জন বিমানকর্মী নিয়ে আকাশে উড়েছিল এয়ারবাস এ৩২০। পাকিস্তানের লাহোর থেকে করাচি আসছিল বিমানটি। করাচি বিমানবন্দরের কাছে পৌঁছেও যায় বিমানটি। বাকি ছিল বিমানবন্দরে অবতরণ। ঠিক তার আগেই করাচির একটি জনবসতির ওপর ভেঙে পড়ে বিমানটি। বিমানের ২টি ইঞ্জিন খারাপ হয়ে যায় বলে প্রাথমিকভাবে জানা যাচ্ছে। যান্ত্রিক ত্রুটি থেকেই ঘটে যায় এমন ভয়ংকর দুর্ঘটনা। ফলে বিমানে থাকা যাত্রীরা তো বটেই এমনকি যে জনবসতির ওপর সেটি ভেঙে পড়ে সেখানেও প্রাণহানি সহ প্রভূত ক্ষতি হয়েছে।
একটি বিমান জনবসতির ওপর ভেঙে পড়লে যে ক্ষতি হওয়ার তা হয়েছে। সঙ্গে তৈরি হয় আতঙ্ক। দ্রুত ২০ থেকে ২৫ জন বাসিন্দাকে হাসপাতালে পাঠানো হয়। বাড়িঘর বিমানের ধ্বংসস্তূপের তলায় গুঁড়িয়ে যায়। কোথাও কোথাও ধোঁয়া উঠতে থাকে। দ্রুত শুরু হয় উদ্ধারকাজ। বিমান থেকে যেমন যাত্রীদের মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে, তেমন মৃতদেহ পাওয়া গিয়েছে জনবসতির ভাঙা অংশ থেকেও। এখনও মোট ৯৭ জনের দেহ উদ্ধার হয়েছে।
এই ভয়ংকর বিমান দুর্ঘটনার পরও আশ্চর্যরক্ষা পেয়েছেন ২ জন বিমান যাত্রী। বিমানের ইঞ্জিন ছাড়াও ধ্বংস হয়েছে ৩টি ল্যান্ডিং গিয়ার। কেন এমন যান্ত্রিক ত্রুটি তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে পাকিস্তানে এমনভাবে জনবসতির ওপর বিমান দুর্ঘটনাগ্রস্ত হয়ে ভেঙে পড়ার কথা অনেকেই মনে করতে পারছেন না। ইদের আগেই এমন ঘটনায় করাচি জুড়ে শোক ও আতঙ্কের ছায়া নেমে এসেছে। দুর্ঘটনা শুক্রবার ঘটলেও শনিবারও জোর কদমে চলে উদ্ধারকাজ। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা