পড়ুয়াদের রক্তে ভাসল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান
চলছিল ক্লাস। ঠিক সেই সময়েই ঘটে বিস্ফোরণ। ভয়ংকর বিস্ফোরণে পুরো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানই ধুলোয় মিশে যায়। পড়ুয়া ও শিক্ষকদের রক্তে ভেসে যায় চত্বর।
পেশোয়ার : মঙ্গলবার সকালে তখন ক্লাস চলছিল। পড়ুয়ারা ব্যস্ত ছিল ক্লাসে। শিক্ষকরাও তাঁদের পড়ানো চালিয়ে যাচ্ছিলেন। সবকিছু অন্যান্য দিনের মতই স্বাভাবিক নিয়মে চলছিল। কিন্তু ঠিক সেই সময়ই জামিয়া জুবেরিয়া নামে মাদ্রাসায় বিস্ফোরণ হয়। ভয়ংকর বিস্ফোরণ। বিস্ফোরণের শব্দে চারিদিক কেঁপে ওঠে। পড়ুয়ারা রক্তাক্ত অবস্থায় ছিটকে পড়ে। শিক্ষকরাও রক্তাক্ত হন। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ৭ জনের।
৭ জনের মৃত্যুর পাশাপাশি প্রায় ৭০ জন আহত হয়েছে। তারমধ্যে অধিকাংশই ছাত্র ও শিক্ষক। পুরো মাদ্রাসাটিই ভেঙে তছনছ হয়ে যায়। কার্যত ধুলোয় মিশে যায় পাকিস্তানের পেশোয়ারের দির কলোনির এই মাদ্রাসা।
ঘটনার পরই গোটা এলাকা ঘিরে ফেলে পুলিশ। শুরু হয় উদ্ধারকাজ। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশের অনুমান আইইডি বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে। ৫ কেজি বিস্ফোরক ব্যবহার করা হয়েছে এই বিস্ফোরণ ঘটাতে। তবে ঠিক কীভাবে বিস্ফোরক রাখা হয়েছিল তা এখনও পরিস্কার নয়।
এই বিস্ফোরণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি তো বটেই এমনকি আশপাশের এলাকারও ক্ষতি হয়েছে। অনেকে আহত হয়েছেন। এই বিস্ফোরণের দায় স্বীকার করে কোনও সংগঠন এখনও এগিয়ে আসেনি।
তবে এটা সন্ত্রাসবাদীদেরই কাজ বলে মনে করছে পুলিশ। কোন সন্ত্রাসবাদী সংগঠন এর পিছনে রয়েছে তা তাদের কাছে এখনও পরিস্কার নয়।
আহতদের দ্রুত সুস্থ করে তোলার জন্য যা করা যায় তা করার জন্য স্থানীয় প্রশাসনের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।
কীভাবে এখানে বিস্ফোরক এল এবং তা কে বা কারা রেখে গেল তা জানার চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ। এই ঘটনার পর পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ঘটনার তীব্র নিন্দা করে আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেছেন।
প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফও এই বিস্ফোরণের তীব্র নিন্দা করেছেন। পুরো ঘটনায় পেশোয়ার শহর জুড়ে প্রবল চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
বিস্ফোরণস্থল ঘিরে নিয়ে সেখান থেকে নমুনা সংগ্রহের কাজ শুরু হয়েছে। আশপাশের লোকজনকে জিজ্ঞাসাবাদও করছে পুলিশ। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা