
পাকিস্তানের ওপর কোনও পররাষ্ট্র আক্রমণ হলে তারা চুপ করে বসে থাকবে না। পাকিস্তানের পাশে এসে দাঁড়াবে। পাকিস্তানের ওপর বিদেশি আগ্রাসন তারা বরদাস্ত করবে না। পাক সংবাদ মাধ্যমের দাবি, লাহোরে পাকিস্তানকে এমনই আশ্বাস দিয়েছেন চিনের কনসাল জেনারেল ইউ বোরেন। উরি হামলার পর ভারতের সঙ্গে পাকিস্তানের সম্পর্ক তলানিতে ঠেকার পর তৈরি হয়েছে যুদ্ধ পরিস্থিতি। সীমান্তে দু’দেশই কোমর বাঁধছে। যদিও কাশ্মীর ইস্যুতে পাকিস্তানের প্রত্যক্ষ মদত ও ভারতে সন্ত্রাসবাদী হামলার ক্ষেত্রে জঙ্গিদের পাক সরকারের তরফে সাহায্য পাকিস্তানকে আন্তর্জাতিক মহলে কোণঠাসা করে দিয়েছে। বরং সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলা প্রসঙ্গে ভারতের অবস্থানকেই সমর্থন জানিয়েছেন সকলে। এই অবস্থায় চিনের এই আশ্বাস কিছুটা হলেও পাকিস্তানকে অক্সিজেন জুগিয়েছে। যদিও বিশেষজ্ঞদের মতে, এতে অবাক হওয়ার মত কিছু নেই। ভারত যদি পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কোনও চরম পদক্ষেপের কথা বিবেচনা করে তবে পাকিস্তান তাদের পুরানো বন্ধু চিনকে পাশে পাবে এটাই স্বাভাবিক। এটা ফলাও করে চিন না বললেও পারত। তবে যে জন্য চিনের এই মন্তব্য, তাতে ভারতের কিছু আসে যায়না বলেই মনে করছেন তাঁরা। কারণ ভারতকে এখন আর ভয় দেখিয়ে লাভ নেই। কারণ গোটা আন্তর্জাতিক মহল তাদের পাশে রয়েছে। অন্যদিকে কেরলে একটি জন সমাবেশে বক্তব্য রাখতে গিয়ে শনিবার খোলাখুলি পাকিস্তানকে সন্ত্রাস রফতানিকারক দেশ হিসাবে চিহ্নিত করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।