আমেরিকাকে মুখের ওপর না বলে দিল পাকিস্তান
আমেরিকাকে মুখের ওপর না বলে দিল ইমরানের পাকিস্তান। ৮ ঘণ্টার ম্যারাথন বৈঠকের পর এই সিদ্ধান্ত নিল ইসলামাবাদ। যা তাদের আগামী দিনে সমস্যার কারণ হতে পারে।
আমেরিকার তরফ থেকেই এসেছিল অনুরোধ। কিন্তু সে অনুরোধে না করার দুঃসাহসটা দেখিয়ে ফেলল পাকিস্তান। আফগানিস্তান থেকে তাদের সেনা প্রত্যাহার করে নিচ্ছে আমেরিকা। এই অবস্থায় ওয়াশিংটন চেয়েছিল পাকিস্তান যেন তাদের ভূখণ্ডে আমেরিকাকে বেস বানানোর অনুমতি দেয়।
আমেরিকার এই অনুরোধ নিয়ে বৈঠকের বসে ইসলামাবাদ। ৮ ঘণ্টা ধরে চলে বৈঠক। পাকিস্তানের জাতীয় সুরক্ষা কমিটির বৈঠকের শেষে ইসলামাবাদ জানিয়ে দেয় তারা তাদের ভূখণ্ডে আমেরিকাকে বেস তৈরি করতে দেবে না। তাতে তারা যে কোনও পরিস্থিতির মুখে পড়তে প্রস্তুত।
আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহারের পর আমেরিকার একটি কৌশলী অবস্থান যে এই অঞ্চলে দরকার তা মেনে নিচ্ছেন বিশেষজ্ঞেরা। তাতে তাদের পক্ষে চিনের ওপর চাপ বজায় রাখাতেও সুবিধা হবে। কিন্তু সেই সুযোগ তাদের দিতে রাজি হল না পাকিস্তান।
সেই পাকিস্তান যাদের চিনের পরম বন্ধু বলেই মনে করে গোটা বিশ্ব। আর চিনের সঙ্গে মার্কিন মুলুকের আদায় কাঁচকলায় সম্পর্কের কথাও সকলের জানা। এক্ষেত্রে তাই প্রশ্ন উঠছে পাকিস্তানের সিদ্ধান্ত কী পাকিস্তানের নিজস্ব? নাকি নেপথ্যে কলকাঠি নাড়ল চিনই!
পাকিস্তানের এক সাংসদের দাবি আমেরিকা আফগানিস্তান সহ ওই অঞ্চলে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে চায়না। আর সেজন্যই আফগানিস্তান থেকে দ্রুত সেনা প্রত্যাহার করে নিল তারা।
মার্কিন সেনা প্রত্যাহার শুরু হওয়ায় তালিবানও আফগান সরকারের সঙ্গে এক টেবিলে বসতে রাজি হবে না বলে দাবি করেন ওই পাক সাংসদ। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা