উপত্যকায় জঙ্গি অনুপ্রবেশ বাড়াতে অভিনব উদ্যোগ নিল পাক গুপ্তচর সংস্থা
সীমানা পার করে জঙ্গি অনুপ্রবেশ উপত্যকায় যাতে আরও গতি পায় সেজন্য উদ্যোগ নিল পাক গুপ্তচর সংস্থা। শীতের চ্যালেঞ্জিং পরিবেশকে কাজে লাগাতে চাইছে তারা।
জম্মু কাশ্মীর জুড়ে এখন প্রবল ঠান্ডা। চিল্লাই কলনের সময় এটা। ৪০ দিন ব্যাপী এই চিল্লাই কলন হল কাশ্মীরের সবচেয়ে ঠান্ডার সময়।
প্রবল তুষারপাত, মাইনাসের অনেক নিচে থাকা পারদ ভূস্বর্গের পরিস্থিতি শোচনীয় করে তোলে। এরসঙ্গে থাকে পশ্চিমী ঝঞ্ঝার মাঝেমধ্যেই হানা।
তখন চারধারের দৃশ্যমানতাও যায় কমে। এই প্রতিকূল পরিস্থিতিতে সীমান্তে নজরদারিও এক বড় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে। এই চ্যালেঞ্জ যে শুধু সীমান্তপ্রহরায় নিয়োজিতদের জন্যই চ্যালেঞ্জিং তা নয়, এটা অনুপ্রবেশকারীদের জন্যও চরম চ্যালেঞ্জিং।
কিন্তু এই প্রতিকূল আবহাওয়াকে কাজে লাগিয়েই ভারতে জঙ্গি অনুপ্রবেশে গতি আনতে চাইছে পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই। সংবাদ সংস্থা জানাচ্ছে এজন্য ২টি অভিনব উদ্যোগ নিয়েছে তারা।
জঙ্গিদের এই অতিপ্রবল ঠান্ডা, তুষারপাত, ঘন কুয়াশার মধ্যেই ভারতে পাঠানোর সুযোগকে কাজে লাগাতে এবার তাদের কাশ্মীরের ঠান্ডার সঙ্গে লড়ার মত গরম পোশাক দিতে শুরু করেছে আইএসআই।
কিন্তু শুধু গরম পোশাক পরলে তো ঠান্ডা যাবে, পথ চিনবে কীভাবে? এই প্রতিকূল আবহাওয়ায় বরফের তলায় চলে যাওয়া বিশাল এলাকার কোন দিক দিয়ে গেলে ভারতে পৌঁছনো যাবে সেটাও তো জানতে হবে। এজন্য আইএসআই জঙ্গিদের হাতে তুলে দিচ্ছে ন্যাভিগেশন অ্যাপ।
এই ন্যাভিগেশন অ্যাপকে কাজে লাগিয়ে জিপিএস পদ্ধতির সাহায্যে কীভাবে তারা এগোবে ভারতে ঢোকার জন্য তা তাদের শেখানোও হয়েছে।
পাক অধিকৃত কাশ্মীরে এখন প্রায় আড়াইশো জঙ্গি ভারতে ঢোকার জন্য তৈরি হয়ে বসে আছে বলেও সূত্রের খবর মারফত জানাচ্ছে সংবাদ সংস্থা। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা