জল কিনতেই খসছে হাজার হাজার টাকা, হুঁশ ফিরছে না প্রশাসনের
জল নেই। জল চাইলে খসাতে হচ্ছে মোটা টাকা। গত কয়েক বছর ধরে এই একই পরিস্থিতির শিকার শহরের সাধারণ মানুষ। অথচ স্থানীয় প্রশাসন বিষয়টি নিয়ে উদাসীন।
জলই জীবন। সেই জল থেকেই বঞ্চিত হচ্ছেন শহরের মানুষ। জল বিক্রি হচ্ছে অত্যন্ত চড়া দামে। আর শহরে লাগাতার জলাভাবের সুযোগ নিয়ে জাঁকিয়ে ব্যবসা করছে এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী। বর্তমানে লোকমুখে এদের পরিচয় ট্যাঙ্কার মাফিয়া।
সিন্ধু নদ শীর্ণ হয়ে যাওয়ার জেরে চরম জলাভাবের কবলে পড়েছে পাকিস্তানের করাচি শহর। তীব্র থেকে দিনে দিনে তীব্রতর হয়ে উঠেছে পরিস্থিতি।
এরফলে সবচেয়ে দুর্ভোগে পড়েছেন করাচি শহরের দরিদ্র মানুষজন। গত কয়েক বছর ধরে এই পরিস্থিতি। অথচ স্থানীয় প্রশাসন বিষয়টি নিয়ে নিস্পৃহ বলে ভুক্তভোগীদের অভিযোগ।
করাচি শহরে দরিদ্র মানুষের সংখ্যা কম নয়। জীবনধারণের উপকরণ জোগাতেই তাঁদের নাজেহাল হতে হচ্ছে। এই অবস্থায় কয়েক হাজার টাকা দিয়ে জল কেনাটা বিলাসিতাই বলা যেতে পারে।
করাচি শহরের বাসিন্দাদের মতে, প্রতিমাসে পাকিস্তানি মুদ্রায় ৫ হাজার টাকা খরচ করতে হচ্ছে পানীয় জল কেনা বাবদ। এই টাকা জোগাড় হবে কীভাবে তা ভেবে কূল পাচ্ছেন না অনেকেই।
করাচি শহরে পানীয় জল সরবরাহ ব্যবস্থা পুরোপুরি বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। পানীয় জলের পাশাপাশি গৃহকর্মে জলের দরকার হয় প্রতিদিনই। থালাবাসন মাজা, ঘর পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে কিংবা স্নানের জন্যেও দরকার জল।
জলাভাবে বিপর্যস্ত করাচি শহরের এক বাসিন্দা জানিয়েছেন, পাকিস্তানি মুদ্রায় তাঁর মাসিক আয় মোটে ১৫ হাজার টাকা। এই পরিস্থিতিতে মোটা টাকা দিয়ে জল কিনতে হওয়ায় সংসারটা চলছে প্রায় না চলার মতো করেই। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা