প্রতিদিন ১৫ ঘণ্টা লোডশেডিংয়ে কাটাচ্ছেন পড়শি দেশের বাসিন্দারা
দিনে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ১৫ ঘণ্টাই লোডশেডিংয়ে কাটাচ্ছেন পড়শি দেশের মানুষজন। তাও আবার এই অসহ্য গরমে। আপাতত পরিস্থিতি বদলানোরও কোনও সম্ভাবনা নেই।
অসহ্য গরমে নাজেহাল ভারতের সিংহভাগ। একই পরিস্থিতি ভারতের পড়শি দেশ বাংলাদেশ, পাকিস্তানের। গরমে পুড়ছে এসব দেশও। এক মুহুর্ত ফ্যানের তলা থেকে বা এসি ঘর থেকে বার হতে ইচ্ছা করছে না।
এই পরিস্থিতিতে দিনের মধ্যে ১৫ ঘণ্টা লোডশেডিংয়ে কাটাতে হচ্ছে লক্ষ লক্ষ মানুষকে। তাও এই অসহ্য গরম সহ্য করে। সারা দেশে একই ছবি দেখা যাচ্ছে। কম করে হলেও এক এক দিন ৮ ঘণ্টা তো লোডশেডিং থাকছেই কিছু শহর গ্রামে।
পাকিস্তানের এমন কোনও কোণা নেই যেখানকার মানুষ এই পরিস্থিতির মুখে পড়ছেন না। একে এখন রমজান চলছে। তার মধ্যে এমন প্রাণান্তকর লোডশেডিংয়ে মানুষ তাঁদের দৈনন্দিন কাজই করতে পারছেন না। সেইসঙ্গে বিঘ্ন ঘটছে ইফতার থেকে শেহরিতে।
পাকিস্তানের কে ইলেকট্রিক জানাচ্ছে চাহিদার তুলনায় কমপক্ষে ৩০০ মেগাওয়াট কম বিদ্যুৎ উৎপাদিত হচ্ছে। ফলে পরিস্থিতি এমন দিকে বাঁক নিয়েছে।
তাদের দাবি পাকিস্তানের মোট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ১৭ হাজার মেগাওয়াট। কিন্তু প্রয়োজন ১৯ হাজার মেগাওয়াট। যা সন্ধের পর ২১ হাজার মেগাওয়াটে গিয়ে ঠেকে। ফলে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া যাচ্ছে না।
খোদ করাচি শহরেই ১৫ ঘণ্টা লোডশেডিং থাকছে। এছাড়া লাহোর, রাওয়ালপিন্ডি, কোয়েটা, পেশোয়ার, মুলতান, বাদিন সর্বত্রই লোডশেডিংয়ের ছবি নজর কাড়ছে। গ্রামের পরিস্থিতি আরও শোচনীয়। যা পরিস্থিতি তাতে দ্রুত যে সমস্যা মিটবে এমন আশাও দেখা যাচ্ছে না। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা