অনেক লড়াই করে ৭৫ বছর পর প্রতিবেশি দেশে থাকা পৈতৃক ভিটেতে পৌঁছলেন বৃদ্ধা
প্রতিবেশি দেশে তাঁর পৈতৃক বাড়ি। ছোটবেলার কত শত স্মৃতি সেই বাড়ি, পাড়া, গলিতে ছড়িয়ে রয়েছে। সেখানে অবশেষে ৭৫ বছর পর পৌঁছলেন ৯২ বছরের বৃদ্ধা।
সময়টা ১৯৪৭, সে সময় যেমন ভারত স্বাধীন হওয়ার আনন্দ ছিল, তেমনই দেশভাগের যন্ত্রণাও অনেকে দাঁতে দাঁত চেপে মেনে নিয়েছিলেন। ভিটেমাটি ছেড়ে ভারত ও পাকিস্তানের দিক থেকে সীমানা পার করেছিলেন প্রাণ হাতে করে।
সেদিন সেই ভিড়ে ছিলেন রাওয়ালপিন্ডির বাসিন্দা কিশোরী রীনা। পরিবারের হাত ধরে সেদিন পাকিস্তান থেকে ভারতে চলে এসেছিলেন তিনি। সেই শেষবার দেখেছিলেন নিজের বাপের বাড়ি।
তারপর বিভিন্ন সময়ে তিনি চেষ্টা করেছেন ভিসা নিয়ে পাকিস্তানে নিজের পৈতৃক ভিটেতে একবার যেতে। ছোট থেকে কিশোরী বয়স পর্যন্ত সেখানে কাটানোর কত শত স্মৃতি তাঁর মনে উঁকি দিত।
চাইতেন ছুটে চলে যান প্রেম নিবাস নামে বাড়িটায়। সেই গলিগুলোতে। সেই প্রতিবেশি, বন্ধুদের কাছে। কিন্তু সীমানার কাঁটাতার তাঁর সেই অন্তর বেদনার মর্ম বোঝেনি।
অবশেষে এই ৯২ বছর বয়সে তিনি ফিরলেন রাওয়ালপিন্ডির সেই বাড়িটায়। ৭৫ বছর আগে যে বাড়িটা ছেড়ে রাতারাতি পালিয়ে আসতে হয়েছিল তাঁকে।
শনিবারই পাকিস্তানে পৌঁছন রীনা। ওয়াঘা সীমান্ত দিয়ে পাকিস্তানে পৌঁছে রীনা ছিবার-এর একটাই অনুরোধ ২ দেশের কাছে, ২ দেশই যেন সীমান্ত পেরিয়ে যাতায়াত পদ্ধতি সহজ করে। যাতে তাঁর মত মানুষজন নিজেদের স্মৃতিটা স্পর্শ করার সুযোগটুকু পান।
২০২১ সালেও তাঁর ভিসার আবেদন গ্রাহ্য হয়নি। অবশেষে তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের ইচ্ছার কথা জানান। যা দেখে পাকিস্তানের এক নাগরিক তাঁকে তাঁর বাড়ির ছবিও পাঠান।
পরে পাক সরকার বিশেষভাবে ৩ মাসের ভিসা অনুমোদন করে। তাই ৭৫ বছর পর অবশেষে নিজের সেই ফেলে আসা পৈতৃক ভিটেতে পা রাখার সুযোগ পেলেন ভারতের রীনা। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা