বাজারে টমেটোর আকাল, অথচ রাস্তায় ফেলে নষ্ট করে দেওয়া হল টমেটো
বাজারে টমেটো প্রায় নেই বললেই চলে। দাম আকাশছোঁয়া। এরমধ্যেই বিদেশ থেকে আনা টমেটো রাস্তায় ফেলে নষ্ট করে দিলেন কৃষকরা।
টমেটো প্রায় নেই বললেই চলে। বাজারে যেটুকু টমেটো আসছে তার দাম আকাশছোঁয়া। সাধারণ মানুষের ধরা ছোঁয়ার বাইরে। এমন পরিস্থিতি একদিন দুদিন নয়, টানা চলছে।
সরকার তাই প্রতিবেশি দেশ থেকে টমেটো আমদানি করে বাজারে টমেটোর চাহিদা এবং দাম নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা শুরু করেছিল। কিন্তু সে চেষ্টাও প্রবল বিরোধিতার মুখে পড়ল।
টমেটো উৎপাদনের সঙ্গে যুক্ত কৃষকরা বিদেশ থেকে আনা লরি লরি টমেটো রাস্তায় ফেলে নষ্ট করে দিলেন। কিছু টমেটো নিয়ে আবার পালালেন স্থানীয় মানুষজন।
পাকিস্তানে ঐতিহাসিক বন্যা পরিস্থিতি কার্যত বাজারে হাহাকার তৈরি করেছে। চাষের জমির সিংহভাগ জলের তলায় চলে যাওয়ায় ফলন তলানিতে ঠেকেছে। বাজারে আনাজ অমিল। দাম আকাশছোঁয়া।
পাকিস্তানে স্থানীয় মুদ্রায় টমেটো ৫০০ টাকা কেজি দরেও বিক্রি হয়েছে। এই পরিস্থিতি সামাল দিতে বন্যাবিধ্বস্ত দেশের মানুষের সুবিধার কথা ভেবেই ইরান ও আফগানিস্তান থেকে টমেটো ও পেঁয়াজ আমদানি শুরু করে পাক সরকার। যাতে এই নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসগুলির দাম নিয়ন্ত্রণে এনে সাধারণ মানুষকে কিছুটা রেহাই দেওয়া যায়।
কিন্তু বালুচিস্তানের কালাট জেলার মাঙ্গোচর শহরের গা দিয়ে চলে যাওয়া কোয়েটা করাচি জাতীয় সড়কে হাজির হন স্থানীয় কৃষকরা। তারপর ইরান থেকে আসা টমেটো বোঝাই ট্রাকগুলিকে আটকে সেসব ট্রাক থেকে সব টমেটো রাস্তায় ফেলে দেন। নষ্ট করে দেন। কিছু টমেটোর রেক নিয়ে পালান আশপাশের বাসিন্দারা।
বিক্ষোভকারী কৃষকদের বক্তব্য, বিদেশ থেকে টমেটো আনা যাবেনা। পাক সরকার এভাবে তাঁদের ব্যবসা নষ্ট করছে। তাঁদের টমেটোর ফলন কিছুদিনের মধ্যেই বাজারে আসবে। তার আগে এভাবে বিদেশ থেকে টমেটো আনা তাঁরা মেনে নেবেন না।
যে দেশে কার্যত টমেটো সাধারণ মানুষের ধরা ছোঁয়ার বাইরে চলে গেছে, সেখানে রাস্তায় টন টন টমেটো লুটোপুটি খাচ্ছে, নষ্ট করে দেওয়া হচ্ছে, এটা পাকিস্তানের সাধারণ মানুষের কাছেও একটা বড় ধাক্কা। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা