দেশে চা প্রায় নেই, চায়ে চুমুক স্বপ্নের পর্যায়ে পৌঁছচ্ছে এই দেশে
আমজনতার দৈনন্দিন কাজের ফাঁকে চায়ে আলতো চুমুক তাঁদের নতুন করে কাজের শক্তি দেয়। সেই চাটুকুও উধাও হওয়ার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে এই দেশে।
ধনী দরিদ্র নির্বিশেষে দিনে বার কয়েক চায়ে চুমুক শরীরটাকে নিমেষে চাঙ্গা করে দেয়। তাই বাড়ির পাশাপাশি পথে বেরিয়ে রাস্তার ধারের চায়ের দোকানেও একভাঁড় চায়ে নিজেকে সতেজ করে নেন সাধারণ মানুষ।
সেই চাটুকুও কার্যত দেশ থেকে উধাও হওয়ার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে এই দেশে। যা আছে তা বিত্তবান মানুষের পক্ষে কেনা সম্ভব হলেও মধ্যবিত্ত ও দরিদ্রদের কাছে চা পান স্বপ্নের পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। দিনে একাধিকবার দুরস্ত ১ বার ১ পেয়ালা চা পানটাও করে উঠতে পারছেন না অনেকে।
পাকিস্তানে চায়ের এই হাহাকার ক্রমশ প্রকট হচ্ছে। মাত্র ১৫ দিনের ব্যবধানে ১ হাজার ১০০ টাকা কেজি চা ১ হাজার ৬০০ টাকায় পৌঁছে গেছে। তা রমজানের মধ্যে আড়াই হাজারে পোঁছে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।
এতো গেল খোলা চা পাতার কথা। বিভিন্ন সংস্থার প্যাকেটবন্দি চায়ের দামও লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। পাকিস্তানে চা কিন্তু দার্জিলিং বা অসমের নয়। এমনকি শ্রীলঙ্কারও নয়।
পাকিস্তানে চা আসে কেনিয়া থেকে। মোমবাসার ১টি চা নিলাম কেন্দ্র থেকে চা কেনে পাকিস্তান। সেখান থেকেও দাম সংক্রান্ত সমস্যা এবং পুরনো হিসাব এখনও না মেটানোয় চা আসা সংকটে পড়েছে।
তার ওপর বন্দরে বিদেশ থেকে গত ডিসেম্বরে আসা চা এখনও বন্দরেই নিয়মের জটিলতার কারণে পড়ে আছে। এদিকে এসব কারণে পাকিস্তানের আমজনতা এক কাপ চায়ে চুমুক দেওয়ার কথাও ভুলতে বসেছেন। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা