জোড়া কারণ দেখিয়ে সীমান্ত পার করা বাঁদরকে আশ্রয় দিতে রাজি নয় চিড়িয়াখানা
সীমান্ত পার করে ঢোকা একটি বাঁদরকে আশ্রয় দিতে রাজি হল না চিড়িয়াখানাও। কেন তারা বাঁদরটিকে রাখবে না তার স্বপক্ষে ২টি যুক্তি সামনে আনল চিড়িয়াখানা।
সীমান্তের বাধ্যবাধকতা মানুষ বোঝে। জানে যে অন্য পারে বিনা সরকারি কাগজপত্রে প্রবেশ করা যায়না। পাসপোর্ট, ভিসা লাগে। কিন্তু পাখি থেকে অন্য পশুদের তো সে জ্ঞান নেই। তাদের কাছে এ পৃথিবীটাই তাদের বিচরণস্থল। কাঁটাতারের বন্ধন তাদের জন্য নয়।
এক্ষেত্রে তাই ঘটেছিল। সীমান্ত পার করে একটি বাঁদর ঢুকে পড়েছিল পড়শি দেশে। সীমান্তবর্তী পঞ্জাব প্রদেশের ভাওয়ালপুর শহরের আশপাশে এমন একটি বাঁদর সীমানা পার করে ঢুকে ঘুরপাক খাচ্ছে এ খবর পাওয়ার পরই তাকে পাকড়াও করতে সেখানে পৌঁছয় পাকিস্তানের রিলিফ অ্যান্ড রেসকিউ এমারজেন্সি সার্ভিস।
কয়েক ঘণ্টা ধরে চলে এই ভারতীয় বাঁদরটিকে পাকড়াও করার চেষ্টা। অবশেষে ২০০ ফুট উঁচু একটি স্তম্ভ থেকে তাকে পাকড়াও করা হয়।
এবার বাঁদরটির কি হবে? সে তো মানুষ নয় যে চর বলে জেলে পোরা হবে! ওই বিভাগের তরফে স্থানীয় ভাওয়ালপুর চিড়িয়াখানায় যোগাযোগ করা হয়। কিন্তু পাকিস্তানের ওই চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ সাফ জানিয়ে দেয় তাদের পক্ষে ওই বাঁদরটিকে আশ্রয় দেওয়া সম্ভব নয়।
তারা ২টি যুক্তি সামনে আনে। একটি হল তাদের চিড়িয়াখানায় আর একটাও পশুকে স্থান দেওয়ার মত জায়গা বেঁচে নেই।
দ্বিতীয়টি হল, ভারত থেকে আগেও লেঙ্গুড় বা বাঁদর সীমানা পার করে ঢুকেছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তাদের পাকড়াও করার পর তাদের দেহে চোট দেখা যায়। সেই আঘাতের চিকিৎসার জন্য কোনও পশু চিকিৎসক তাদের চিড়িয়াখানায় নেই। ফলে বাঁদরটি চিকিৎসা পাবেনা।
প্রসঙ্গত এর আগেও ভারত থেকে পাকিস্তানের ভূখণ্ডে প্রবেশ করা একটি লেঙ্গুড় চিকিৎসা না পেয়ে মারা গিয়েছিল। এখন এই বাঁদরের কি হবে সেটা বুঝে উঠতে পারছেনা পাকিস্তানের রিলিফ অ্যান্ড রেসকিউ এমারজেন্সি সার্ভিস। কেনই বা পাকিস্তানের একটি চিড়িয়াখানায় একজনও পশু চিকিৎসক নেই, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা