World

পড়শি দেশে বন্ধ হাজার হাজার স্কুল, লাটে উঠল পড়াশোনা

ছাত্রছাত্রীদের স্কুলে যাওয়া বন্ধ। স্কুলই তো বন্ধ। যাবে কোথায়। অবশ্যই এজন্য শিক্ষকদের দায়ী করছে সরকার। পাল্টা সরকারকে দায়ী করছেন শিক্ষকরা।

স্কুল বন্ধ। পড়াশোনা লাটে উঠেছে। ছাত্রছাত্রীরা সব বাড়িতে বসে আছে। স্কুলে আসার প্রশ্নই নেই। কারণ দরজাই বন্ধ। পড়ানোরও কেউ নেই। এভাবে প্রাথমিকের ছাত্রছাত্রীদের ভিত নড়বড়ে হচ্ছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞেরা। কিন্তু তাতে সরকার থেকে আরম্ভ করে শিক্ষক, কারও হেলদোল নেই।

২ তরফই নিজেদের অবস্থানে অনড়। যার ফল ভুগতে হচ্ছে ২২ হাজার ছাত্রছাত্রীকে। এ ঘটনা পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া-র। এখানে যত প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে সবই বন্ধ হয়ে পড়ে আছে।


কারণ শিক্ষকরা একজোট হয়েছেন। এমন কোনও শিক্ষক নেই যিনি এই আন্দোলনের বাইরে। তাঁরা পেশোয়ারের জিন্না পার্কে বসেছেন অবস্থান ধর্মঘটে।

তাঁদের একাধিক দাবি রয়েছে। শিক্ষকরা জানাচ্ছেন, তাঁরা অনেকদিন ধরে বঞ্চনা সহ্য করেছেন। আর নয়। এবার হয় তাঁদের দাবি মেনে নেবে খাইবার পাখতুনখোয়ার প্রাদেশিক সরকার, নতুবা এই আন্দোলন বিরামহীনভাবে চলতে থাকবে।


শিক্ষকরা তাঁদের অফিসিয়াল আপগ্রেডেশনের দাবিতে অনড়। তাঁরা প্রাথমিক স্কুলগুলিকে বেসরকারি হাতে তুলে দেওয়ারও বিরোধিতায় সোচ্চার। ১৩ হাজার ৫০০ জন শিক্ষক তাঁদের দাবিতে অবস্থান ধর্মঘটে শামিল হয়েছেন।

অন্যদিকে শিক্ষকদের এই আন্দোলনের জেরে প্রদেশের সব প্রাথমিক স্কুলে তালা দিতে হয়েছে সরকারকে। শিক্ষকদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা গ্রহণ এবং শিক্ষক সংগঠনের বিরুদ্ধেও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের ভয় দেখিয়েছে খাইবার পাখতুনখোয়ার শিক্ষা দফতর।

কিন্তু তাতে দমবার পাত্র নন শিক্ষকরা। তাঁরা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন দাবি না মেটা পর্যন্ত তাঁরা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন। তাঁদের বিরুদ্ধে যদি কোনও ব্যবস্থা সরকার নিতে চায় নিতে পারে। এই পরিস্থিতিতে নীরবে প্রতিদিন ক্ষতির শিকার হয়ে চলেছে হাজার হাজার ছাত্রছাত্রী। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button