লুকিয়ে চুরিয়ে বেশ কিছুদিন কাটানো গেলেও অবশেষে বাবার কাছে ধরা পড়ে গেল মেয়ে। বছর ১৫-র নবম শ্রেণির ছাত্রের সঙ্গে তার সম্পর্কের কথা জেনেই ফেলল বাবা। তাতে অবশ্য প্রচলিত নিয়মে মেয়ের ওপর অত্যাচারের রাস্তায় হাঁটেনি বাবা। বরং পরিবারের ‘সম্মানার্থে’ প্রেমিকেই টার্গেট করে সে। সাঙ্গপাঙ্গ নিয়ে গিয়ে রাস্তা থেকে ওই ১৫ বছরের কিশোরকে একটি রুক্ষ ফাঁকা জায়গায় তুলে নিয়ে যায় মেয়ের বাবা। অভিযোগ, ফাঁকা জায়গায় নিয়ে ওই কিশোরের দুটো চোখ উপড়ে নেওয়া হয়। সেখানেই শেষ নয় কিশোরের পুরুষাঙ্গ কেটে ফেলে দেয় মেয়ের বাবা। তারপর রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে মৃত্যুর জন্য ফেলে রেখে সেখান থেকে চলে যায় তারা।
ফাঁকা জায়গায় হলেও ভাগ্যক্রমে সেখান দিয়ে এক ব্যক্তি যাচ্ছিলেন। তাঁর চোখে পড়ে কিশোরটি। দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা কোনওমতে কিশোরকে প্রাণে বাঁচিয়ে দেন। এই ঘটনায় ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। লাহোরে ঘটা এই ঘটনায় হতচকিত গোটা পাকিস্তান। কিশোরের অবস্থার জন্য নয়। বরং বেশি অবাক মেয়ের প্রাণ না নিয়ে কিশোরটিকে টার্গেট করায়। কারণ পরিবারের সম্মানের নামে পাকিস্তানে পুরুষদের হাতে বেঘোরে প্রাণ হারান বহু পাক কিশোরী, মহিলা।