কোনও এক অজানা কারণে মেজ ভাই জাহিদ আলি গুলি করে আত্মঘাতী হন। সেই খবর আসে বড়ভাইয়ের কানে। ভাইয়ের মৃত্যুর খবর পাওয়ার পরই বড়ভাই বছর ৪০-এর আব্বাস আলি শোকে ভেঙে পড়েন। হৃদরোগে আক্রান্ত হন তিনি। তাঁকে নিয়ে পরিবারের লোকজন ছোটেন হাসপাতালে। সেখানে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। এরপর শোকার্ত পরিবার ২ ভাইয়ের মৃতদেহ বাড়িতে নিয়ে আসে। দুই দাদার নিথর দেহ দেখে ভেঙে পড়েন ছোটভাই বছর ২৮-এর সাদ্দাম আলি। শোক সহ্য করতে পারেননি তিনি। দুই দাদার দেহের সামনেই হৃদরোগে আক্রান্ত হন তিনি। তাঁকেও হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।
একই দিনে একই পরিবারের ৩ ভাইয়ের মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনার কথা পাক সংবাদমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। গত শুক্রবার পাকিস্তানের পঞ্জাব প্রদেশের গুজরানওয়ালা শহরের ইলিয়াস কলোনির বাসিন্দা এই ৩ ভাইয়ের মৃত্যুতে গোটা এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েন মৃতদের আত্মীয়স্বজন, প্রতিবেশিরা।