ছেলের প্রেমিকা দিনরাত মোবাইলে মুখ গুঁজে পড়ে থাকে। বিয়ের আগেই ছেলের সঙ্গে সর্বক্ষণ চলছে চ্যাট। এমন মেয়েকে বাড়ির বউ করে আনতে তীব্র আপত্তি জানান ছেলের বাবা। কিন্তু ছেলেও নাছোড়। ওই মেয়েকেই বিয়ে করবে সে। নাহলে কাউকেই বিয়ে করবেনা। ছেলের এমন জেদ মানতে পারেনি বাবা। অভিযোগ, মোবাইলে মুখ গুঁজে পড়ে থাকা মেয়েকে বিয়ের জন্য পিড়াপিড়ি করায় ছেলের ওপর অতি মাত্রায় রেগে ছিল সে। মোবাইল আসক্ত মেয়েকে বিয়ের ব্যাপারে ফের ছেলের সঙ্গে ঝামেলা বেঁধে যায় তার। ছেলে কথা না শোনায় মেজাজ হারিয়ে তার ওপর চড়াও হয় সে। সঙ্গে দোসর হয় তার অন্য ২ ছেলে। স্বামী ও বাকি ২ ছেলের কাজে বাধা দিতে যান যুবকের মা। কিন্তু কেউ তাঁর কথা শোনেনি। বরং মাকে পাশের ঘরে আটকে রাখা হয়। এরপর জেদি ছেলেকে দড়ি দিয়ে শক্ত করে বাঁধে তাঁর বাবা। তারপর রান্নাঘর থেকে চামচ এনে সোজা ঢুকিয়ে দেয় যুবকের ২ চোখে। এখানেই নৃশংসতা থেমে থাকেনি। অভিযোগ, বাকি ২ ছেলের সাহায্যে আব্দুলের চোখ ফালাফালা করে দেওয়া হয় ছুরি দিয়ে।
এই ঘটনা সামনে আসতেই ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে পাকিস্তানের বালুচিস্তান প্রদেশের নাসিরাবাদ এলাকায়। গুরুতর জখম যুবকের দাবি, তার কাতরানি শুনে বাড়িতে ছুটে আসেন প্রতিবেশিরা। তাঁরাই ধরাধরি করে যুবককে চক্ষু চিকিৎসাকেন্দ্রে ভর্তি করেন। কিন্তু সেই মুহুর্তে চিকিৎসাকেন্দ্রে চিকিৎসক না থাকায় যুবক তাঁর দৃষ্টিশক্তি হারিয়ে ফেলেন। আক্রান্ত যুবকের অভিযোগের ভিত্তিতে তার বাবা ও ভাইদের গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঘটনার দিন অনুপস্থিত যুবকের অপর ভাই সরকারের কাছে দাদার চোখের চিকিৎসার দায়িত্ব নেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন।