পাকিস্তানে সন্ত্রাসবাদী সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদের ঘাঁটিতে ভারতীয় যুদ্ধবিমানের সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের পর পাকিস্তানে প্রথম যে ধন্ধ তৈরি হয় তা হল কোথায় আক্রমণটা হয়েছে। কারণ পাকিস্তানেই ২টি বালাকোট রয়েছে। একটি খাইবার পাখতুন এলাকায়। যা পাকিস্তানের অনেকটা ভিতরে। অন্য বালাকোট হল পাক অধিকৃত কাশ্মীরের মুজফ্ফরাবাদে। যা লাইন অফ কন্ট্রোল থেকে কিছুটা ভিতরে। ভারতীয় যুদ্ধবিমান যে এই বালাকোটে হানা দেয় তা এদিন পরিস্কার করে পাক সেনা।
পাক সেনার তরফে দাবি করা হয় ভারত এলওসি থেকে কিছুটাই পাক ভূখণ্ডের ভিতরে ঢুকতে পেরেছে। খুব বেশি দূর ঢুকতে পারেনি। বরং পাকিস্তান সেনার দাবি, তারা প্রত্যাঘাতের জন্য তাদের বিমান তৈরি করতে করতেই ভারতীয় বিমানগুলি ফিরে যায় ভারতে।
পুলওয়ামা হামলার পর পাকিস্তানের মদতপুষ্ট ও পাকিস্তানের মাটিতে নিজেদের ঘাঁটি গড়ে সন্ত্রাস চালানো জইশ-ই-মহম্মদ দাবি করে তারাই এই হামলার ঘটিয়েছে। যেখানে ৪০ জন সিআরপিএফ জওয়ান শহিদ হন। সেই ঘটনার বদলা যে ভারত নেবে এমন কথা শোনা যাচ্ছিল। অবশেষে ১২ দিন মঙ্গলবার ভোররাতে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক হয়। পাকিস্তানে ঢুকে বালাকোটে জইশের ঘাঁটি ধ্বংস করে দেয় ভারতীয় যুদ্ধবিমান মিরাজ ২০০০–এর একটি দল। জঙ্গি ঘাঁটিগুলি তছনছ করে ফের তারা ফিরে আসে ভারতে। রাত সাড়ে ৩টের পর খুব কম সময়ের মধ্যে পুরো অপারেশন সারে ভারতীয় বায়ু সেনা।
(সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা)