গত সপ্তাহেই পুলওয়ামা কাণ্ড নিয়ে যাবতীয় তথ্য পাকিস্তানের হাতে তুলে দিয়েছে ভারত। তার ওপর আন্তর্জাতিক স্তরেও চাপ বাড়ছিল পাকিস্তানের ওপর। ক্রমশ দুর্বল হচ্ছিল তাদের অর্থনীতি। সারা বিশ্বই পাকিস্তানকে এখন বাঁকা নজরে দেখে। সন্ত্রাসবাদের পৃষ্ঠপোষক হিসাবে সারা বিশ্বেই বেশ খ্যাতি অর্জন করেছে পাকিস্তান। ফলে ক্রমশ একঘরে হয়ে পড়ছিল তারা।
এত চাপ আর বোধহয় সহ্য করতে পারল না ইসলামাবাদ। মঙ্গলবার অবশেষে সন্ত্রাসবাদী সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদের ৪৪ জন সদস্যকে গ্রেফতার করল পাক সরকার। যার মধ্যে জইশের প্রতিষ্ঠাতা মৌলানা মাসুদ আজহারের ভাই মুফতি আব্দুর রউফ, মাসুদের আত্মীয় হামাদ আজহার রয়েছে।
মঙ্গলবার পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণমন্ত্রী শাহরিয়ার খান আফ্রিদি সাংবাদিক বৈঠক করে একথা জানান। পাশাপাশি অবশ্য তিনি এও জানান ধরপাকড় কোনও চাপের মুখে নয়। তিনি মেনে নেন গত সপ্তাহে ভারত পুলওয়ামা হামলা নিয়ে যে তথ্য তুলে দিয়েছিল তাতে মাসুদ আজহারের ভাই মুফতি আব্দুর রউফ-এর নাম ছিল। এদিকে এক পাক সাংবাদিক জানিয়েছেন, এই ৪৪ জন জইশ জঙ্গিকে ধরার সময় তারা বিনা বাধায় পাক পুলিশের হাতে ধরা দেয়।
পুলওয়ামা হামলার পর যখন পাকিস্তানের দিকে আঙুল উঠছিল তখন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বলেছিলেন ভারত তাঁদের হাতে প্রমাণ তুলে দিলে আর তা নির্ভুল হলে পাক সরকার ব্যবস্থা নেবে। সেদিক থেকে দেখতে গেলে এক্ষেত্রে ইমরান দেখালেন যে তিনি কথা রাখেন। পাকিস্তান যে চাপ আর নিতে পারছিল না তা এদিনের ধরপাকড় থেকেই পরিস্কার। প্রশ্ন উঠছে এখন পারলে এতদিন পাকিস্তান কী করছিল? এদিন জইশের অনেক সম্পত্তিও দখলে নিয়েছে পাকিস্তান প্রশাসন।
(সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা)