একটা জায়গা নয়। বিভিন্ন প্রান্তে গত ২ দিন ধরে চলছে প্রবল ঝড়-বৃষ্টি। কোথাও একটানা বৃষ্টি হয়েই চলেছে। কোথাও প্রবল ঝড় লণ্ডভণ্ড করে দিয়েছে জনজীবন। কোথাও উঠেছে ধুলোঝড়। আর তার জেরেই বিভিন্ন জায়গা মিলিয়ে মোট ২৬টি প্রাণ গিয়েছে। আহত বহু। যদিও সরকারিভাবে মৃত্যুর খবর জানানো হয়নি। তবে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলি মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করছে।
প্রায় গোটা পাকিস্তান জুড়েই শেষ ২ দিনে ঝড়-বৃষ্টি স্বাভাবিক জনজীবনে থাবা বসিয়েছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বালুচিস্তান প্রদেশ। প্রবল ঝড় বৃষ্টিতে এখানে ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। ৫০ জনের ওপর মানুষ বিভিন্ন কারণে আহত হয়েছেন। তারমধ্যে কারও ওপর ভেঙে পড়েছে গাছ। কারও ওপর ধসে পড়েছে কাঁচা বাড়ি। এছাড়াও বাতিস্তম্ভ ভেঙে পড়ে, চাল উড়ে এসে সহ নানা কারণে দুর্ঘটনা ঘটেছে।
বালুচিস্তান ছাড়াও খাইবার পাখতুনখোয়ার পরিস্থিতি প্রায় এক। এখানেও ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। পঞ্জাব প্রদেশের করাচিতেও একই অবস্থা। তছনছ হয়েছে অনেক কিছু। এখানে ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় সাইনবোর্ড পর্যন্ত উড়ে গেছে। করাচিতে একটি স্কুলের দেওয়ার ভেঙে অনেক পড়ুয়া আহত হয়েছে। একটি ভ্যানে করে আসামীদের সংশোধনাগারে নিয়ে যাওয়ার সময় সেই ভ্যানের ওপর আস্ত গাছ উপড়ে পড়ে। তাতে কয়েকজন বন্দি আহত হয়েছে। করাচির অবস্থা আরও শোচনীয় করে ধুলো ঝড়।
একটানা বৃষ্টি অবস্থাকে আরও শোচনীয় আকার দিয়েছে। নিচু এলাকাগুলি জলের তলায় চলে গেছে। অনেক জায়গায় হড়কা বানে অবস্থা খারাপ হয়েছে। রাস্তা বন্ধ হয়েছে জলে। যানবাহন চলাচল বিঘ্নিত। প্রবল ঝড়ে আরব সাগরে মাছ ধরতে যাওয়া ১০ মৎস্যজীবীকে নিয়ে একটি জেলে নৌকা হারিয়ে যায়। পাকিস্তানের নৌসেনাকে উদ্ধারকাজে নামানো হয়। নৌসেনা ৬ মৎস্যজীবীকে উদ্ধার করলেও বাকিরা এখনও নিখোঁজ।
(সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা)