World

রোগী মৃত্যু ঘিরে হাসপাতালে হামলা, মৃত পাকিস্তানের সবচেয়ে ভারী মানুষ

ওজন ৩৩০ কেজি। পাকিস্তানের সবচেয়ে ভারী মানুষ ছিলেন তিনি। ৫৫ বছরের নুরুল হাসানকে লাহোরে উড়িয়ে নিয়ে আসে একটি সেনা বিমান। কদিন আগে একটি সেনা বিমান বিশেষভাবে নুরুলকে পঞ্জাব প্রদেশের সাদিকাবাদ থেকে উড়িয়ে নিয়ে আসে। তারপর লাহোরের হাসপাতালে তাঁর চিকিৎসা শুরু হয়। আইসিইউ-তে রাখা হয়েছিল তাঁকে। সেখানে পাকিস্তানের অন্যতম সেরা ল্যাপরোস্কোপিক সার্জন মাজুল হাসান তাঁর চিকিৎসা করছিলেন। ওজন ঝরিয়ে তাঁকে একটা সুস্থ জীবন দেওয়া ছিল উদ্দেশ্য।

সেইমত সব ঠিকঠাক চলছিল। কিন্তু গত রবিবার ওই হাসপাতালে এক মহিলার মৃত্যু হয়। মহিলার মৃত্যুর পর হাসপাতালে চড়াও হন তাঁর আত্মীয় পরিজনেরা। শুরু হয় তোলপাড়। হাসপাতালের কাজকর্ম লাটে ওঠে। মৃতার আত্মীয়রা তাণ্ডব চালান হাসপাতালে। ফলে আইসিইউ-তেও কাজ বন্ধ হয়ে যায়। প্রায় ১ ঘণ্টা ধরে হাসপাতাল রণক্ষেত্রের চেহারা নেয়। চিকিৎসক থেকে নার্স সকলেই ব্যস্ত ছিলেন অবস্থা সামাল দিতে।


ঝামেলা চলাকালীন আইসিইউ-তে দেশের সবচেয়ে ভারী মানুষ নুরুল হাসানের অবস্থার অবনতি হতে থাকে। কিন্তু নুরুল হাসানের শারীরিক পরিস্থিতি দেখার জন্য সেখানে কেউ ছিলেন না। না ছিলেন কোনও চিকিৎসক, না ছিলেন কোনও নার্স। ফলে তাঁর অবস্থার অবনতি হতেই থাকে। ১ ঘণ্টা পার করে যখন হাসপাতালের পরিস্থিতি শান্ত হয় তখন দেখা যায় ৩৩০ কেজির নুরুল হাসানের অবস্থা আশঙ্কাজনক। ওই পরিস্থিতি থেকে তাঁকে আর বাঁচানো সম্ভব হয়নি।

নুরুল হাসানের পাশাপাশি আইসিইউ-তে চিকিৎসক না থাকায় আরও ১ রোগীর মৃত্যু হয়েছে। পর্যবেক্ষণে না থাকার ফলেই নুরুল হাসানের মৃত্যু হয়েছে বলেই দাবি করেছেন চিকিৎসকেরা। পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। হাসপাতালে হামলার বিষয়টিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পরীক্ষা করা হচ্ছে সিসিটিভি ফুটেজ। হাসপাতালে যেখানে মরণাপন্ন রোগীরাও রয়েছেন, সেখানে হামলা হলে কী চরম পরিণতি হতে পারে তার ফের একটা জ্বলন্ত উদাহরণ হয়ে রইলেন নুরুল হাসান। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা


Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button