মালগাড়িটা দাঁড়িয়ে ছিল লুপ লাইনে। সিগনাল হওয়ার পর যাত্রী বোঝাই প্যাসেঞ্জার ট্রেনটি সোজা লুপ লাইনে ঢুকে পড়ে। তারপর সজোরে গিয়ে ধাক্কা মারে মালগাড়িটিতে। প্যাসেঞ্জার ট্রেনটি গতিতে থাকায় সেটির বেশ কয়েকটি বগি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। দলা পাকিয়ে যায় কয়েকটি কামরা। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ১৪ জন যাত্রীর। আহত হয়েছেন ৭৫ জন। তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। কীভাবে প্যাসেঞ্জার ট্রেনটি লুপ লাইনে ঢুকে পড়ল তা পরিস্কার নয়। গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখা শুরু হয়েছে।
ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার কাকভোরে পাকিস্তানের সাদিকাবাদের ওয়াহার স্টেশনে। এখানে দাঁড়িয়েছিল যাত্রী বোঝাই আকবর এক্সপ্রেস। কোয়েটা যাচ্ছিল ট্রেনটি। সেই সময়ই লুপ লাইনে ঢুকে দুর্ঘটনা। দুর্ঘটনার পর ট্রেনের মধ্যে আটকে পড়া যাত্রীদের উদ্ধার করতে বিভিন্ন উন্নত প্রযুক্তির মেশিন ব্যবহার করা হয়। যাতে তাঁদের দ্রুত বার করে আনা সম্ভব হয়।
১৪ জনের মৃত্যু ও ৭৫ জন আহত হওয়ার পর এই দুর্ঘটনা নিয়ে শোক প্রকাশ করেছেন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। মৃতদের পরিবার পিছু ১৫ লক্ষ পাকিস্তানি রুপি করে ঘোষণা করেছে রেল দফতর। এই ঘটনায় ট্রেন চালকের দোষ রয়েছে, নাকি সিগনালের দোষ, তা খতিয়ে দেখতে তদন্ত শুরু হয়েছে। গত মাসেও এভাবেই জিন্না এক্সপ্রেস নামে একটি প্যাসেঞ্জার ট্রেন একটি দাঁড়িয়ে থাকা মালগাড়িতে ধাক্কা মারে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা