প্রথমে নামে মেঘ ভাঙা বৃষ্টি। আর সেই বৃষ্টির হাত ধরে শুকনো জায়গাতেও শুরু হয় হড়পা বান। প্রবল স্রোতে জল বইতে থাকে। মেঘ ভাঙা বৃষ্টি এমনিতেই ঝেঁপে হয়। চারদিক সাদা করে বৃষ্টি পড়তে থাকে অঝোর ধারায়। ফলে দ্রুত বাড়তে থাকে জল। সেই জল হড়পা বানের চেহারা নিতে বেশি সময় নেয়নি। আর হড়পা বান যে কতটা ভয়ংকর হতে পারে তা ২২টি প্রাণ কেড়ে নিয়ে ফের একবার বুঝিয়ে দিয়ে গেল প্রকৃতি।
পাকিস্তানের নীলম উপত্যকা। অপরূপ প্রাকৃতিক শোভা এখানে বিরাজ করছে। পর্যটকদের অন্যতম আকর্ষণ এই সবুজ উপত্যকা। এখানে গত রবিবার রাত থেকে বৃষ্টি শুরু হয়। সেই মেঘ ভাঙা বৃষ্টি চলতে থাকে। ফলে রাতেই হুহু করে বাড়তে থাকে জল। উপত্যকা হওয়ায় হড়পা বান তৈরি হতে সময় নেয়নি। হড়পা বানের জেরে ১৫০টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ২টি মসজিদও ক্ষতিগ্রস্ত হয় এই প্রাকৃতিক দুর্যোগে।
সারারাতের এই বৃষ্টি ও হড়পা বান কেড়ে নেয় ২২টি প্রাণ। এখনও অনেক মানুষ ধ্বংসস্তূপের মধ্যে আটকে পড়ে আছেন। তাঁদের উদ্ধার করতে সোমবার সকাল থেকে প্রশাসনিক তৎপরতা শুরু হয়। বাড়িঘর ভেঙে যাওয়ায় গৃহহীন মানুষজন সেই অভিশপ্ত রাত কাটিয়ে এখন ত্রাণ শিবিরে জায়গা পেয়েছেন। প্রাণটুকু বাদ দিয়ে সবকিছু ধুয়ে নিয়ে গেছে একটা রাতের হড়পা বান।
মেঘ ভাঙা বৃষ্টি সাধারণত দেখা যায়না। কখনও সখনও হয়। এক্ষেত্রে মেঘ ভেঙে বৃষ্টি নামে। একটি অঞ্চল জুড়ে বৃষ্টি হয়। প্রবল বৃষ্টি হয়। হিসাব বলছে প্রতি ঘণ্টায় বৃষ্টি হয় ১০০ মিলিমিটারের বেশি। মেঘ ভাঙা বৃষ্টির সঙ্গে সাধারণ বৃষ্টির ফারাক রয়েছে। মেঘ ভাঙা বৃষ্টিতে খুব কম সময়ে প্রচুর জল আকাশ থেকে জমিতে এসে পড়ে। ফলে দ্রুত এলাকায় জল বেড়ে যায়। হড়পা বানের সৃষ্টি হয়। ধ্বংসলীলার মুখে পড়ে ওই প্রভাবিত এলাকা। যেমনটা হল পাকিস্তানের এই ছবির মত সুন্দর উপত্যকায়। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা