চাকার ওপর ছুটবে রাজপ্রাসাদ, গড়ানো এখন সময়ের অপেক্ষা
চাকার ওপর ফের ছোটার অপেক্ষায় দিন গুনছে রাজপ্রাসাদ। সত্যিই সে এক রাজপ্রাসাদই বটে। তার বিলাসবহুল আনাচকানাচ দেশের ঐতিহ্যে পরিণত হয়েছে।
আর কিছুদিনের অপেক্ষা। তারপরই ফের চাকার ওপর ছুটতে চলেছে বিলাসবহুল রাজপ্রাসাদ। আগামী সেপ্টেম্বরেই ছুটবে সে। ফের মানুষ তাকিয়ে দেখবে তার ফেটে পড়া রূপ নিয়ে ছুটে যাওয়া। আর যাঁরা তার মধ্যেই থাকবেন তাঁরা নিজেদের রাজরাজড়ার চেয়ে কম কিছু ভাববেন না।
কারণ এ হল একাধারে রাজপ্রাসাদের সেই পুরনো ঐতিহ্যের ধারক। আবার আধুনিক যাবতীয় সুযোগ সুবিধার বাহক। আর এই মিশ্রণেই সেজে নতুন করে ছুটতে চলেছে দেশের সবচেয়ে বিলাসবহুল ট্রেন।
প্যালেস অন হুইলস। যথার্থ নামকরণ বটে। সেই ১৯৮২ সালে রাজস্থান ট্যুরিজম ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন ভারতীয় রেলের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধে রাজার হালে রাজস্থানের রাজরাজড়া ও ঐতিহাসিক স্থান ঘুরিয়ে দেখাতে গড়ায় প্যালেস অন হুইলস।
ব্যয়বহুল এই ট্রেন সফরে চিরদিনই ছিল রাজস্থান ঘুরে দেখার পাশাপাশি এই ট্রেনে সফরের আজীবন মনে রাখার মত অভিজ্ঞতা। সেই প্যালেস অন হুইলস বন্ধ হয়ে গিয়েছিল ২০২০ সালে। যখন দেশজুড়েই স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল ট্রেন যাত্রা। তারপর পরিস্থিতি অনেকটা স্বাভাবিক হলেও, দেশের সব ট্রেন চালু হয়ে গেলেও, এখনও থেমে প্যালেস অন হুইলস-এর সফর।
একদম অন্য মেজাজের ট্রেনের কামরার ভিতর রয়েছে ঘর। ঘরে রয়েছে আসবাব, রাজকীয় সাজসজ্জা, আধুনিক সরঞ্জাম ও পরিষেবা আর ঐতিহাসিক ঐতিহ্যের একটা দারুণ ভারসাম্য। যা যে কোনও মানুষকে মোহিত করে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট।
সেই প্যালেস অন হুইলস সেপ্টেম্বর থেকে ফের চালানোর জন্য ইতিমধ্যেই রাজস্থানের হোটেলগুলির সংগঠনের সঙ্গে কথা বলছে রাজস্থান ট্যুরিজম। যাতে এবার থেকে এটিকে পিপিপি মডেল অর্থাৎ পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপে চালানো সম্ভব হয়। সব ঠিকঠাক থাকলে রাজস্থানের বুক চিরে সেপ্টেম্বরেই ছুটবে প্যালেস অন হুইলস। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা